বরিশাল
শিশু ধর্ষণ মামলার আসামির মৃত্যুদণ্ড
২০১৮ সালের ১১ মার্চ পূর্ব গণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ করেন কালু। এরপর হত্যা করে বস্তাবন্দি দেহ স্থানীয় হালিম মাস্টারের বাড়ির গোরস্তানে ফেলে রাখেন। বরিশালে আট বছরের শিশুকে অপহরণের পর ধর্ষণ ও মরদেহ গুমের মামলায় এক যুবককে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু শামীম আজাদ এই রায় দেন। দণ্ডিত আবুল কালাম আজাদ ওরফে কালুর বাড়ি বরিশাল নগরীর এয়ারপোর্ট থানার কাশিপুরের গণপাড়া এলাকায়।
সরকার পক্ষের আইনজীবী ফয়জুল হক ফয়েজ জানান, শিশুটিকে ধর্ষণের জন্য মৃত্যুদণ্ড, অপহরণে যাবজ্জীবন এবং মরদেহ গুমের অপরাধে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া আসামির সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে দেড় লাখ টাকা নির্যাতিতার পরিবারকে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। মামলায় বলা হয়, ২০১৮ সালের ১১ মার্চ পূর্ব গণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ করেন কালু। এরপর হত্যা করে বস্তাবন্দি দেহ স্থানীয় হালিম মাস্টারের বাড়ির গোরস্তানে ফেলে রাখে।
১৩ মার্চ পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। ওই দিনই নিহতের মা মাহামুদা বেগম কালুর বিরুদ্ধে এয়ারপোর্ট থানায় মামলা করেন। ২০১৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর এয়ারপোর্ট থানার পরিদর্শক আবদুর রহমান মুকুল আদালতে অভিযোগপত্র দেন। ১০ জনের সাক্ষ্য শেষে রায় দিয়েছে আদালত।