বরিশাল
লঞ্চে আগুন আতঙ্ক: ৪০০ যাত্রীকে সরিয়ে নিল নৌপুলিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: চাঁদপুরের মেঘনায় লঞ্চে লাগা আগুন থেকে প্রাণে বেঁচে গেছেন ৪০০ যাত্রী। বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত গভীর রাতে এমভি কর্ণফুলী-১১ নামে যাত্রীবাহী একটি লঞ্চের ইঞ্জিনে আগুন লেগে যায়। এ সময় আতঙ্কিত যাত্রীদের একজন ৯৯৯-এ কল করেন। পরে নৌ-পুলিশের সহায়তায় ওই লঞ্চের ৪০০ যাত্রীকে উদ্ধার করে অপর আরেকটি লঞ্চে তুলে দেওয়া হয়।
এর আগে বুধবার রাত ৯টায় রাজধানীর সদরঘাট থেকে দ্বীপজেলা ভোলার উদ্দেশে ছেড়ে যায় যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি কর্ণফুলী-১১। প্রায় ৪০০ যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে পৌঁছলে ইঞ্জিনকক্ষে আগুন লাগে। এ সময় পুরো লঞ্চটি ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।
এমন পরিস্থিতিতে ওই লঞ্চের আতঙ্কিত যাত্রীরা ৯৯৯-এ কল দেন। এরই মধ্যে লঞ্চ স্টাফরা আগুন ও ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হন। পরে নৌপুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাত্রীদের উদ্ধার করে। এমন তথ্য নিশ্চিত করেন নৌপুলিশের চাঁদপুর অঞ্চল প্রধান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।
তিনি আরো জানান, নৌপুলিশ পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখার চেষ্টা করছে। এতে লঞ্চ কর্তৃপক্ষের কোনো অবহেলা আছে কি না তা-ও খতিয়ে দেখা হবে। তবে লঞ্চের স্টাফরা দাবি করেন, ইঞ্জিনকক্ষের পাশে থাকা মবিল থেকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ইঞ্জিনকক্ষে কর্মরত আব্দুল মান্নান দাবি করেন, মূলত মবিলের পাইপ থেকে এ ঘটনা ঘটেছে। এতে বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি।
এদিকে দুর্ঘটনাকবলিত লঞ্চের যাত্রীরা কর্ণফুলী-৩ যোগে বৃহস্পতিবার সকালে ভোলা পৌঁছেন। তবে এ দুর্ঘটনায় ইঞ্জিনের ক্ষতি হলেও লঞ্চযাত্রীদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
গতকাল রাতে চাঁদপুরের মেঘনায় ৪০০ যাত্রী নিয়ে যাত্রীবাহী লঞ্চে আগুন লাগার ঘটনা ঘটার পর থেকে আজ দুপুর পর্যন্ত বিআইডাব্লিউটিএর কোনো কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে দেখা যায়নি।’