জাতীয়
রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় যারা হামলা করেছে তারা দেশের শত্রু: আমু
নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু বলেছেন, যারা সহিংসতার মাধ্যমে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস করেছে তারা স্বাধীনতার শত্রু, এ দেশের শত্রু। তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে হামলাকারীরা বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিল। সোমবার (২৯ জুলাই) কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ঘটে যাওয়া সহিংসতায় পোড়ানো রাজধানীর বনানীর সেতুভবন ও মহাখালীতে দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা অধিদফতর পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আজকে আর বলতে অসুবিধা নেই, হামলাকারীরা দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বকে এখন পর্যন্ত মেনে নিতে পারেনি, বিশ্বাস করে না। যারা দেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করতে চায় তাদেরই কর্ম হচ্ছে এই স্থাপনাগুলো ধ্বংস করে দেওয়া, যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়া। দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিয়ে দেশকে পঙ্গু করে দেওয়া। এটাই তাদের একমাত্র লক্ষ্য।
আমু বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক বিশ্বে একটি সমাদৃত দেশ ও জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, সেজন্য তাদের গাত্রদাহ। তাই আজকে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নানা কুৎসা রটনা ও ষড়যন্ত্র হচ্ছে।আন্দোলনকারীদের কাঁধে ভর দিয়ে ‘স্বাধীনতাবিরোধীরা’ সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। এই দুষ্কৃতকারীদের প্রতিহত করতে দেশবাসিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, রাষ্ট্রীয় স্থাপনার ওপর আঘাত করে তারা চেষ্টা করেছে রাষ্ট্রকে অকার্যকর করে দেওয়ার। অকার্যকর রাষ্ট্র যদি তারা প্রমাণ করতে পারে, তাহলে বিদেশ থেকে যে সহযোগিতা তারা পাচ্ছে তা হয়তো এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।
সে কারণেই এই সেতুভবনের উপর আক্রমণকে আমাদের জাতীয় জীবনের উপরও আক্রমণ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। এই হামলা করেছে জামায়াত-শিবির। এটা স্পষ্ট যে জামায়াত-শিবিরের প্রশিক্ষিত ক্যাডাররাই যারা খুলনা, সাতক্ষীরা, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রংপুর থেকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছিল, তারাই করেছে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজ ভান্ডারিসহ ১৪ দলের নেতারা।