গলাচিপা
রাবনাবাদ নদীর ভাঙ্গনে গলাচিপায় বিভিন্ন স্থাপনা হুমকির মুখে
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রাবনাবাদ নদীর ভাঙ্গনে গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের হোগলবুনিয়া, আটখালী ও ডাকুয়াগ্রাম ভাঙ্গন রোধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। ডাকুয়া বেড়িবাঁধের ওপর বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় মানববন্ধনে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ও স্থানীয় জনসাধারণসহ শতশত লোক অংশ নেয়।
জানা গেছে, গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ডাকুয়া গ্রাম, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আটখালী গ্রাম ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের হোগলবুনিয়া গ্রামের বিভিন্ন ধরনের স্থাপনাসহ পাঁচ থেকে ছয় শত একর জমি বিলীন হয়ে গেছে। বর্তমানে তেঁতুলতলা বাজার, আটখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি , আটখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৬০ বছরের পুরানো জমিদারবাড়ীসহ তিনটি মসজিদ একটি কমিউনিটি সেন্টার, জৈনপুরি খানকা মন্দিরসহ বাজারের শতাধিক দোকানঘর হুমকির মুখে রয়েছে।
ডাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন স্থাপনা যা ভাঙ্গনের কবলে হুমকিতে রয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন সাবেক সভাপতি মো. আলতাফ মাহমুদ তার সমাহিত কবর থেকে মাত্র ১০ ফুট দূরে রাবনাবাদ নদী। যেকোনো সময় কবরটি বিলীন হতে পারে। ডাকুয়ার বেড়িবাঁধটি আগে দুইবার মেরামত করা হলেও এরপর এলাকার লোকজন স্বেচ্ছাশ্রমে মেরামত করে।
আটখালী গ্রামের মো. দেলোয়ার হোসেন (৮৭) জানান, রাবনাবাদ নদীতে তাদের যৌথ পরিবারের ২৫ একর জমি বিলীন হয়ে গেছে। জমিজমা নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যাওয়ায় অনেক হিন্দু পরিবার ভারতে চলে যায়। এমনকি অনেকে ঢাকাসহ বাংলাদেশে বিভিন্ন স্থানসহ বেড়িবাঁধের ওপর আশ্রয় নিয়েছেন। বর্তমানে যারা আছেন তারাও আবার দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে গলাচিপা ডাকুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ রায় জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের ওই দিন খেয়ে না খেয়ে আমিসহ ইউপি সদস্যরা এবং এলাকার জনগণ নিয়ে বেড়িবাঁধটি রক্ষা করার জন্য জিওব্যাগ, ইট, মাটি, বস্তাবর্তি বালু ও কলাগাছ দিয়ে কোনো রকম বাঁধটি রক্ষা করতে সক্ষম হই। পরে আবার দুর্যোগ এলে বাঁধটি রক্ষা করা সম্ভব হবে না। তাহলে আমার ইউনিয়নসহ চারটি ইউনিয়ন প্লাবিত হবে। আমাদের অভিভাবক মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন যাতে দ্রুত বাঁধটির ব্যাপারে স্থায়ী একটা সমাধান দেন।