তালতলী
রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পর্যটক শূন্য ‘দ্বিতীয় সুন্দরবন’ টেংরাগিরি ইকো-পার্ক
নিজস্ব প্রতিবেদক॥ বরগুনার তালতলী উপজেলার দশ হাজার একরের টেংরাগিরি সংরক্ষিত বনে ইকো-ট্যুরিজমের উদ্ভোধন করেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর উদ্ভোধনের পর আর কোনো উন্নয়নমূলক কাজ হয়নি এ পর্যটন কেন্দ্রে।
অযত্ন অবহেলা আর রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে দ্বিতীয় সুন্দরবন খ্যাত টেংরাগিরি সংরক্ষিত বনে নির্মাণ করা ইকো-পার্কটি।
এ পর্যটন কেন্দ্রে একই সঙ্গে দেখা যায় প্রাকৃতিক ম্যানগ্রভ বনের সৌন্দর্য, বন্য প্রাণী ও সাগর। দেখা যায় সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয়। ইকো-ট্যুরিজমে ঢুকতেই দেখা মিলবে হরিণের বেষ্টনির। শুধু হরিণ নয়, এতে আলাদা আলাদা বেষ্টনিতে রাখা শুকর, মেছোবাঘসহ নানান ধরনের বন্য প্রাণি।
নাম শুনে যারা আসছেন তারাও ফিরে যাচ্ছেন হতাশ হয়ে। পর্যটকদের দাবি এখানে রাত্রিযাপনের জন্যা হোটেল মোটেলের ব্যাবস্থা করলে স্বচ্ছন্দে উপভোগ করতে পারবেন প্রাকৃতিক বনের সৌন্দর্য।
কিন্তু সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে ইকো পার্কটি। বনের শেষ প্রান্তে অপার সৌন্দর্যের লীলা ভূমিতে গিয়ে দেখা যাবে সাগরের বিশাল ঢেউ, সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয় । তবে সেখানে যাওয়ার রাস্তা ও গভীর বনে প্রবেশের রাস্তাগুলো সংস্কারের অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও ভেঙে গেছে রাস্তা। বনের মধ্য থেকে সমুদ্র পর্যন্ত যেতে কাঠের ব্রিজগুলোও ভেঙে গেছে। ভেঙেছে পর্যটকদের জন্য নির্মিত শৌচাগার, নষ্ট হয়ে গেছে সুপেয় পানির জন্য নির্মাণ করা টিউবয়েলগুলো। পর্যটকদের বিশ্রামের জন্য নির্মিত গোলঘরসহ সকল স্থাপনা ময়লা আবর্জনায় ভরে গেছে। এ অবস্থায় পর্যটকরা হতাশ হচ্ছেন।
ইকো পার্কে ঘুরতে আসা পর্যটকরা বলছেন, বিশাল এই শ্বাসমূলীয় প্রাকৃতিক বনের সৌন্দর্য রূপ একদিনে দেখে উপভোগ করা সম্ভব নয়। তাই এখানে সরকার কোনো হোটেল মোটেল নির্মাণ করলে স্বাচ্ছন্দে উপভোগ করা যাবে।
ইকো পার্কের দায়িত্বে থাকা বন বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন পর্যটকদের সুবিধার জন্য রাস্তা ঘাট ব্রিজগুলো মেরামত করা হচ্ছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে মেরামত কাজ শেষ হবে।
তালতলী বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান জানান, এ পর্যটন কেন্দ্রে একই সঙ্গে দেখা যায় প্রাকৃতিক ম্যানগ্রভ বনের সৌন্দর্য, বন্য প্রাণী ও সাগর।
স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু (এমপি) জানান, পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের জন্য মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে। যা গণপুর্ত বিভাগের মাধ্যমে দ্রুত সময়ে বাস্তবায়ন করা হবে।
পর্যটন শিল্পকে উন্নয়ন করার জন্য তারা প্রায় ১৯ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছেন। যা খুব দ্রুত সময়ে বাস্তবায়ন করবেন তারা।