বরগুনা
মৎস্যসম্পদ বাড়ানোর লক্ষ্যে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বাংলাদেশ একটি প্রাকৃতিক সম্পদের সম্ভাবনাময় দেশ, এর মধ্যে বরগুনা জেলা অন্যতম। জেলায় মৎস্যসম্পদ বাড়ানোর লক্ষ্যে এবং মৎস্যসম্পদকে টিকিয়ে রাখার জন্য জনসচেতনতার বিকল্প নেই।
দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্প শীর্ষক অবহিতকরণ সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে যে প্রাকৃতিক জলাশয় রয়েছে তাতে মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী হতে পারে অনেক মানুষ। শুধু তাই নয় এ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনসহ রাজস্বখাতেও অনেক ভূমিকা রাখতে পারে। এজন্য তৃণমূলের মানুষের অংশগ্রহণমূলক সচেতনতার ওপর গুরুত্ব দিতে এবং প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য মৎস্য বিভাগকে নির্দেশ দেন তিনি।
বরগুনা আরডিএফ মিলনায়তনে দুপুর ১টার দিকে বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন- দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক এসএম আশিকুর রহমান, মৎস্য অধিদপ্তর বরিশালের উপ-পরিচালক আনিছুর রহমান তালুকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ মিয়া, বরগুনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান, বরগুনা প্রেসক্লাবের সভাপতি জহিরুল হাসান বাদশা, গোপালগঞ্জ মৎস্য চাষি সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, গোপালগঞ্জ মৎস্য চাষি সমিতি বরগুনা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট মশিউর মালেক। সভায় জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে মৎস্যচাষি, গোপালগঞ্জ মৎস্যচাষি সমিতির উপজেলা কমিটির সভাপতিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
গোপালগঞ্জ মৎস্য চাষি সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এটি গোপালগঞ্জবাসীর চোখের পানির প্রকল্প, দারিদ্র্যমুক্ত করার প্রকল্প।
বরগুনা প্রেসক্লাবের সভাপতি জহিরুল হাসান বাদশা বলেন, এমন আইন করা উচিত জলাধারের ইজারা প্রকৃত মৎস্যজীবীরা পাবেন। কোনো প্রভাবশালীরা যাতে না পায়। তিনি আরও বলেন, বরগুনায় ইলিশ রক্ষার একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হোক।