ঝালকাঠি
ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদ॥ ঝালকাঠিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর বিরুদ্ধে একটি ইটভাটাকে করা জরিমানার অর্ধেক টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। কাঠালিয়া উপজেলার ‘মেসার্স ত্বোহা ব্রিকস’ নামের একটি ইটভাটার মালিকরা এ অভিযোগ করেছেন।
ইটভাটার মালিক শাহীন আকন জানান, গত সোমবার সকাল দশটার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও এসিল্যান্ড সুমিত সাহা, তার অফিসের নাজির (কর্মচারি) মাঈনুল হোসেন, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কয়েক জন সদস্য নিয়ে তার ইটভাটায় আসেন। কাঠ পোড়ানোসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে নাজির ১০ লাখ টাকা দাবি করেন।
টাকা দিতে না চাইলে চুল্লির আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়। এরপর ভাটার আরেক মালিক এনামুল হোসেনের শ্বশুর হাবিবুর রহমান ও ফিল্ড স্টাফ মফিজুলকে আটক করে কাঠালিয়া সদরে এসিল্যান্ড অফিসে নেয়া হয়।
শাহীন আরও জানান, ওই দিন দুপুরে তিনি মাঈনুলকে চার লাখ টাকা বুঝিয়ে দেন। এরপর এসিল্যান্ড অফিসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে টাকা বুঝে পাওয়ার রশিদ দেন। তখন আটক ওই দুজনকে ছেড়ে দেয়া হয়।
শাহীন বাড়ি ফিরে দেখেন তাকে দুই লাখ টাকার রশিদ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে মাঈনুলের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘সব টাকা রশিদে লিখলে স্যারেসহ আমরা যে এতগুলা লোক গেলাম আমরা খাব কী?’
বিষয়টি জানাজানি হলে এসিল্যান্ড সুমিত সাহা মাঈনুলের মাধ্যমে টাকা ফেরত দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু এখন প্রশাসনিকভাবে এই বিষয়ের মীমাংসা চান ভাটার দুই মালিক।
তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে সুমিত বলেন, ‘অন্য কেউ টাকা নিয়েছে কি না আমার জানা নেই। আমি দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছি, সেই টাকার রশিদ দিয়েছি।’
সুমিত আরও বলেন, ‘জেলা প্রশাসক স্যার আমার কাছে বিষয়টি জানতে চেয়েছেন। আমি বলেছি, তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।’
এই বিষয়ে কথা বলার জন্য মাঈনুলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুফল চন্দ্র গোলদার বলেন, ‘মেসার্স ত্বোহা ব্রিকসে একটি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। সেখানে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর বাইরে অন্য কিছু আমার জানা নেই।’