জাতীয়
আতঙ্কিত নগরবাসী
ভয়ঙ্কর চর্টার সেল
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ চৌমাথা লেক সংলগ্ন মুক্তা মঞ্জিলের টর্চারসেল থেকে মাদকসহ ৫ জনকে আটক করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গতকাল দুপুর আড়াইটার সময় টর্চারসেল পরিচালনাকারীদের আটক করা হয়। এতে অভিযান পরিচালনা করে গোয়েন্দা পুলিশের এস.আই মহিউদ্দিন আহম্মেদ (পিপিএম)। আটককৃত আসামীরা হলো, মোঃ তুষার, আবিয়াত বিশ্বাস, নাসির রহমান, শেখ শান্ত ও অনিক। এছাড়া ওই টর্চারসেল থেকে উদ্ধারকরা হয় মারপিট করার রড, জিআই পাইপ, মাদক সেবনের সরঞ্জামসহ ১০ পিচ ইয়াবা ও ১০০ গ্রাম গাঁজা। এদিকে এই টর্চারসেলের মূল হোতা মুক্তা মঞ্জিলের মালিক লিটন মিয়ার পুত্র সিয়াম ডিবি পুলিশের অভিযান টের পেয়ে কৌশলে পালিয়ে যায়। অনুসন্ধানে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত ওই এলাকায় সিয়ামের নেতৃত্বে ইয়াবা, গাঁজা সেবন ও বিক্রি করে আসছে আটককৃতরা। পাশাপাশি প্রতিদিন পথচারিদের নানা ওজুহাতে ধরে নিয়ে টর্চারসেলের মধ্যে হাত পা বেঁধে মারধোর করা হয়। সাথে থাকা টাকা-পয়সা, মোবাইল ইত্যাদি রেখে ভয়ভীতি দেখিয়ে ছেড়ে দেয়া হয় ভূক্তভোগীকে। সূত্র জানায়, সিয়াম এই সিন্ডিকেটের মূল হোতার সাথে রয়েছে প্রায় ২০/২৫ জনের একটি সংঙ্গবদ্ধ চক্র। এরা ছিনতাই, চুরি, ডাকাতিসহ নানা অপকর্ম করে বেড়য়া। প্রায়স প্রকাশ্যে মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে ঘুরে ক্ষমতার দাপট জাহির করে। যাতে স্থানীয়রা ওদের ভয় পায়। কিন্তু বিধিবাম। হঠাৎ করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ গতকাল অভিযান চালিয়ে পুরো গ্যাং ধরতে না পারলেও ৫ জনকে ধরতে সক্ষম হয়। কিন্তু মূল হোতা রয়ে যায় ধরা ছোয়ার বাইরে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলে, সিয়ামের গ্যাং খুবই ভয়ানক। সারাদিন নেশায় বুত হয়ে এলাকার পথচারী ও শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানী করে প্রাকাশ্যে। কেউ প্রতিবাদ করেনা সম্মানের ভয়ে। এ ব্যাপারে গোয়েন্দা পুলিশের (এসি) নরেশ কর্মকার দেশ জনপদকে জানায়, টর্চার সেলের মূলহোতা পালাতক রয়েছে। এছাড়া ধৃত ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। এর সাথে আরো যারা জড়িত আছে তাদেরও আইনের আওতায় আনতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।