ভোলা
ভোলায় স্বাস্থ্য প্রশাসনের উদাসীনতায় অচল প্রধানমন্ত্রীর উপহার!
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার চরাঞ্চলে বসবাসরত সাধারণ মানুষের জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর উপহার নৌ-এ্যাম্বুলেন্সটি এক বছর ধরে পরে আছে অযত্নে আর অবহেলায়। এ্যাম্বুলেন্সটির চালক না থাকায় এক বছরেও কোন রোগী বহন করতে পারেনি। রয়েছে অচল অবস্থায় পড়ে।
উপজেলার বিচ্ছিন্ন চরমোজাম্মেল, চরজহির উদ্দিন, চর নাসরিন, সিডারচর ও চরউড়িতে বসবাসরত মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌছে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে উপহার হিসেবে এ্যাম্বুলেন্সটি পাওয়ার প্রায় এক বছর পার হলেও সেটি এখনো ব্যবহারই করা হয়নি।
এটির রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে মেঘনা নদীর তীরে ঘাটেই বাধাঁ অবস্থায় কে বা কারা সামনের গ্লাসগুলি ভেঙে ফেলছে। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে পানিতে ডুবে মেশিন নষ্ট হয়ে যায়। এখনই এটি রক্ষণাবেক্ষণ করা না হলে যে কোন মুহূর্তে পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপকূলের দূরবর্তী এলাকার মানুষের প্রয়োজনে জরুরী রোগী আনা-নেওয়ার কাজের জন্য এটি উপহার দেন।
সরজেমিন গিয়ে দেখা যায়, দীর্ঘ এক বছর ধরে গুরুত্বপূর্ণ নৌ-যানটি মেঘনা নদীর তীরেই পরে আছে। চালক না থাকায় এটি একদিনও ব্যবহার করা সম্ভব হয়নি। ব্যবহার ও যত্নের অভাবে দিনে দিনে এটি নষ্ট হতে যাচ্ছে। চলিত বছরের ১৬ জানুয়ারী এটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. হাসান শরীফ বলেন, গত এক বছরে চর থেকে রোগী বহনের জন্য আমরা কোন ফোন পাইনি তাই কোন রোগী বহন করা সম্ভব হয়নি। এটির জন্য কোন চালক না থাকায় আউটসোসিংয়ের একজন কর্মচারীকে ঢাকায় প্রশিক্ষণে নেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে এ্যাম্বুলেন্সটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে ইঞ্জিন বিকল হয়। মেরামতের জন্য চাহিদা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই মেরামত করা হবে।’