ভোলা
ভোলায় ধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রী, ধরা-ছোঁয়ার বাইরে আসামিরা
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ভোলা সদর উপজেলা পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের বাঘারহাওলা গ্রামে ছোট বোনের জন্য বিস্কুট কিনতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রী।
গত রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে বাঘারহাওলা গ্রামের জনৈক শহিদ খন্দকার এর বন্ধ দোকানের নিচে এমন নির্মম ধর্ষণের শিকার হয় স্কুল ছাত্রী। ছাত্রীটি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে অধ্যয়নরত।
ঘটনার পর সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে ভোলা সদর মডেল থানায় দুইজনের নাম উল্লেখ করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ওই ছাত্রীর বাবা। মামলা নম্বর ২৯/২১
মামলায় একই গ্রামের আব্দুল শহিদদের ছেলে সাদ্দামকে (১৯) প্রধান আসামি করা হয়। এবং ধর্ষণের সহযোগী হিসেবে একই গ্রামের আব্দুল রশিদের ছেলে মো. শামসুকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে মামলা দায়েরের নয়দিন অতিবাহিত হলেও এখনো কোনো আসামিকে আটক করতে পারিনি পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মামুন হোসেন জানিয়েছেন, ভিক্টিমের ডাক্তারি পরীক্ষা-নীরিক্ষা শেষ হয়েছে। আসামি আটকের চেষ্টা চলছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ঘটনার দিন রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ভিক্টিম তাঁর ছোট বোনের জন্য বিস্কুট কিনতে স্থানীয় পাকার মাথা নামক বাজারে যায়। বিস্কুট কিনে বাড়িতে ফেরার পথে আসামি সাদ্দাম ভিক্টিমের মুখ চেপে ধরে জনৈক শহিদ খন্দকারের দোকানের নিচে নিয়ে যায় এবং তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
এসময় ধর্ষণে মামলার দুই নম্বর আসামি শামসু ভিক্টিমের হাতপা চেপে ধরে সাদ্দামকে ধর্ষণে সহযোগীতা করেন৷
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মামুন হোসেন জানান, ভিক্টিমের ডাক্তারি পরীক্ষা-নীরিক্ষা শেষ হয়েছে। আসামিরা পলাতক থাকায় আটক করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে খুব দ্রুতই আসামিদের আটক করা সম্ভব হবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।