পটুয়াখালী
ভোট চাহিয়া লজ্জা দিবেন না!,’ বাসার গেটে বিএনপি নেতার সাইনবোর্ড
নিজস্ব প্রতিবেদক : উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থীরা যখন-তখন বাড়ির গেট নাড়া দিয়ে সজাগ করছেন। গেট খুলতেই বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে ভোট ভিক্ষা চাইছেন। আর এ কারণেই বিরক্ত হয়ে বাড়ির গেটে ‘ভোট চাহিয়া লজ্জা দিবেন না’ লিখে সাইনবোর্ড টাঙিয়েছেন এক বিএনপি নেতা।বিষয়টি এখন পটুয়াখালীতে ‘টক অব দ্য টাউনে’ পরিণত হয়েছে।
আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিত হবে বাউফল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোট ৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রতিদিন প্রার্থীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট ভিক্ষা চাইছেন। এরই মধ্যে নির্বাচনি মাঠে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে- উপজেলা নির্বাচনে বাউফলে বিএনপি প্রার্থী না দিলেও ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন এমনটি শোনা যাচ্ছে। এমনকি শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন বিএনপি নেতার সঙ্গে এক প্রার্থীর চুক্তি হয়েছে, গুঞ্জন আছে। বিএনপির ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য আর্থিক লেনদেন করারও অভিযোগ উঠেছে। যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আপেল মাহমুদ ফিরোজ।
এদিকে এমন গুঞ্জনের মাঝে বাউফল উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সামুয়েল আহমেদ লেনিন তার বাড়ির প্রধান গেটের সামনে ‘ভোট চাহিয়া লজ্জা দিবেন না’ লিখে সাইনবোর্ড টানিয়ে দেন। আর এতেই নজর পড়ে পথিকদের। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানা আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইব্রাহিম খলিল বলেন, এসব পাগলের প্রলাপ ছাড়া কিছুই নয়। নির্বাচনে এলে বিএনপির ভরাডুবি হবে তাই তারা নির্বাচনে আসে না। জনগণ তাদের চায় না। এখন এসব লিখে নাটক করছে বিএনপি।
বিএনপি নেতা সামুয়েল আহমেদ লেনিন বলেন, যেহেতু আমি বিএনপি নেতা, আমার দল এ সরকারের সময়ে সব ধরনের নির্বাচন বর্জন করেছে। তাই আমি ভোট দেব না। প্রার্থীরা যখন তখন আমার কাছে ভোট চাইলে বিব্রতবোধ করি। এই পরিস্থিতি এড়াতে আমি বাসার গেটে এ ধরনের লেখা সাঁটিয়ে দিয়েছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বশির গাজী বলেন, এভাবে সাধারণ মানুষকে ভোটদানে নিরুৎসাহিত করা অন্যায়। এ ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’