ভোলা
ভোলায় যেভাবে ধর্ষণ করা হয় শিশুটিকে
নিজস্ব প্রতিবেদক॥ প্রায় ১০ মিনিট ধরে ধর্ষণ করা হয় শিশুটিকে। পরে শিশুটির যৌনাঙ্গে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় শিশুটিকে ছেড়ে দিয়ে ঘরের পিছনের দরজা খুলে পালিয়ে যায় ধর্ষক সালাউদ্দিন মীর।
এসময় তাকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছিলেন তাঁরই সহযোগী মাহেব। ঘটনার পরপরই স্থানীয় মোড়ল সাদু বেপারি ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি দামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
কিন্তু শিশুটির চাচির বাঁধার মুখে পড়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে গিয়েছিলেন সাদু বেপারি।
ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের কন্দ্রকপুর গ্রামে ধর্ষণের শিকার চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীর চাচি ফাতেমা বেগম বৃহস্পতিবার সকালে এমনটাই জানিয়েছেন গণমাধ্যমকর্মীদের। এসময় গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে রেপ সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরও জানান, বুধবার সকাল ৯টায় শিশুটির বাড়িতে পানি খেতে যায় ধর্ষক সালাউদ্দিন। সেসময় শিশুটি মাদ্রাসায় ছিলো।
শিশুটির বাবা মা নোয়াখালী জেলার ফেনী উপজেলায় থাকেন। শিশুটি তাঁর দাদি ও দাদার কাছে থাকতেন। ঘটনার দিন শিশুটির দাদা দাদি পাশের বাড়িতে ছিলেন।
শিশুটির চাচি ফাতেমা বেগমের হাতের পানি খেয়ে শিশুটির ঘরের খাটের ওপর গিয়ে শুয়ে পড়েন সালাউদ্দিন।
সকাল ১১টার দিকে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফিরেন শিশুটি। ঘরে ডুকে শিশুটি তাঁর বইয়ের ব্যাগটি রেখে তাঁর চাচির সাথে পুকুরে গিয়ে চাচিকে রান্নাবান্নার থালাবাটি এগিয়ে দিয়ে ঘরে আসলেই আগের থেকেই ওঁত পেতে থাকা ধর্ষক সালাউদ্দিন মীর শিশুটির হাত মুখ চেপে ধরে তাকে ধর্ষণ করে।
প্রায় ১০ মিনিট তাকে ধর্ষণ করার পর শিশুটির যৌনাঙ্গে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে শিশুটিকে ছেড়ে ঘরের পিছনের দরজা খুলে পালিয়ে যায় ধর্ষক সালাউদ্দিন।
এসময় ঘরের পিছনের দরজায় অপেক্ষমান থাকা ধর্ষকের সহযোগী মাহেব সালাউদ্দিনকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে।
একপর্যায়ে মাহেবের উপস্থিতিতে স্থানীয় মোড়ল সাদু বেপারি ১০ হাজার টাকার প্রস্তাব দেয় শিশুটির চাচি ফাতেমাকে। চাচি ফাতেমা প্রস্তাব প্রত্যাখান করে তাঁর সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করায় ও অন্যান্য লোকদের উপস্থিতি টের পেয়ে সটকে পড়েন সাদু বেপারি।
এ ঘটনার পর বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে বারোটায় সালাউদ্দিন মীরকে প্রধান আসামি মাহেবসহ অন্য একজনকে অজ্ঞাত সহযোগী দেখিয়ে ভোলা সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন শিশুটির দাদি ফিরোজা বেগম। মামলার নম্বর ১০/২১।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, মামলার প্রধান আসামি সালাউদ্দিন মীর জেলার বাহিরে পলাতক রয়েছে।
আসামিকে আটক করতে জেলার বাহিরেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক টিম কাজ করছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।