বরিশাল
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকে ‘মারধর’, সড়ক অবরোধ
নিজস্ব প্রতিবেদক॥ বরিশাল বন্দর থানার ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ভুল-বোঝাবুঝি নিয়ে ঝামেলাটা হয়েছিল। বাস চলাচল কিছু সময়ের জন্য বন্ধ ছিল, তবে এখন সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে। বাস মালিক সমিতি ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।’
বাসে ওঠাকে কেন্দ্র করে পরিবহন শ্রমিকদের বিরুদ্ধে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে এক ঘণ্টা ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে শনিবার সকাল ৯টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর শ্রেণির মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞানের ছাত্র ফয়সাল শাহরিয়ার। বরিশাল বন্দর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে তিনি জানান, দপদপিয়া জিরো পয়েন্টে যাওয়ার জন্য ফয়সাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে একটি বাসে ওঠার চেষ্টা করেন। গন্তব্যের দূরত্ব কম হওয়ায় ফয়সালের সঙ্গে বাসের স্টাফদের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাসের স্টাফরা ফয়সালকে মারধর করেন।
এরপরই শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এতে এক ঘণ্টা বাসসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা সড়ক থেকে সরে যান।
আহত ফয়সাল বলেন, ‘আমি জিরো পয়েন্টে যেতে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে ছিলাম। কোথায় যাব জিজ্ঞাসা করলে বলি, যেখানে যাব সেখানে নামিয়ে দিলেই হবে। সঙ্গে সঙ্গেই বাসের স্টাফ কালামসহ সাত থেকে আটজন আমার ওপর চড়াও হয় আর গালাগাল করে। আমার জামার কলার ধরে কিলঘুষি মারে।’
আবদুল ফয়েজ নামের এক ছাত্র বলেন, ‘আমাদের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় সড়ক অবরোধ করেছিলাম। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ আশ্বাস দিয়েছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। এতে সড়ক থেকে সরে গেছি আমরা।’
বরিশালের রূপাতলী বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওছার হোসেন শিপন বলেন, ‘যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা কেউ বাসের স্টাফ না, তারা বহিরাগত। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে। বর্তমানে বাস চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর খোরশেদ আলম বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে পুলিশ ও বাস মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।’ ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ভুল-বোঝাবুঝি নিয়ে ঝামেলাটা হয়েছিল। বাস চলাচল কিছু সময়ের জন্য বন্ধ ছিল তবে এখন সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে। বাস মালিক সমিতি ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।’