বরগুনা
বেতাগী ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ দিন দুপুরে প্রকাশ্যে যখম করা হয়েছে বরগুনার বেতাগী উপজেলার ৭নং সরিষামুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমাম হাসান শিপন জোমাদ্দারকে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোন মামলা করা হয়নি এবং পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
তবে গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় হামলাকারীদের ন্যায্য বিচারের দাবীতে বরগুনা টাউন হলের সামনে মানববন্ধন করা হয়েছে। জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিকে আয়োজনে ঘন্টাব্যাপি এ মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সভাপতি মোঃ কাহাবুদ্দিন সাবু ও বরগুনা জেলা বাস মালিক সমন্বয় পরিষদের সভাপতি গোলাম মোস্তফা কিসলু। এ সময় বক্তরা ইউপি চেয়ারম্যান ইমাম হাসান শিপন জোমাদ্দারের উপর অর্তকিত হামলার জোড়ালো প্রতিবাদ জানান।
স্থানীয়রা জানান, গত ইউপি নির্বাচনে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা ইফসুফ শরীফের সাথে জেলা যুবলীগ নেতা ইমাম হাসান শিপন জোমাদ্দারের সাথে বিরোধ শুরু হয়। মনোনয়ন নিয়ে জেলা আওয়ামীলীগের এক বৈঠকে শিপন সর্মথকরা ইফসুফ শরীফের উপর হামলা চালায়। দলীয় মনোনয়ন পান শিপন, মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হয় ইউসুফ শরীফ। বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি ইফসুফ শরীফ। পরবর্তীতে বেতাগী আওয়ামী লীগের এক সভায় আবারো ইফসুফ শরীফকে লাঞ্ছিত করেন ইমাম হাসান শিপন। শিপন চেয়ারম্যান হওয়ার পর ইফসুফ শরীফের সর্মথকরা কোনঠাসা হয়ে পড়ে।
নাম না প্রকাশের শর্তে স্থানীয় অনেকে বলেন, ইফসুফ শরীফের ওপর বারবার লাঞ্ছিত করার প্রতিশোধ নিতে পরিকল্পিতভাবে হামলা করা হতে পারে। এ বিষয় মুঠোফোনে বারবার কথা বলতে চাইলে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইফসুফ শরীফের বন্ধ থাকায় তাঁর সাথে যোগাযোগ করতে পরা যায়নি।
বেতাগী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী সাকাওয়াত ওেহাসেন তপু বলেন,‘ এখন পর্যন্ত থানায় কেউ মামলা করতে আসেনি। তবে হামলাকারীদের গ্রেফতার করতে থানা পুলিশের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে কালিকাবাড়ি বাজার সংলগ্ন নাপিতবাড়ির সামনে পৌঁছলে এ সময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ওঁৎ পেতে থাকা ১০/১২ জনের সন্ত্রাসীরা অর্তকিতভাবে হামলা করে ফেলে রেখে যায়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ে ভর্তি করানো হয়। বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক মোঃ তারেক হাসান বলেন, হামলায় এই ইউপি চেয়ারম্যানের অবস্থা গুরুতর। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তাঁর ডান ও বাম পায়ের হাড় বিছিন্ন হয়ে গেছে এবং তাঁর শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে।