বরিশাল
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব- এমপি শাহে আলম
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ মুক্তিযোদ্ধাদের সকল ধরণের স্মৃতি রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। বাংলার শিকড় আওয়ামীলীগই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সকল ধরণের সুযোগ সুবিধা দিয়েছে। সদর ইউনিয়নের গাভা-নরেরকাঠি বধ্যভূমিতে স্মৃতি সৌধ নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধনের সময় বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি মোঃ শাহে আলম এসব কথা বলেন।
গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে এ ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদের সভাপতিত্বে ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও বানারীপাড়া পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র শীল, মুক্তিযুদ্ধকালীন বেজ কমান্ডার বেণী লাল দাস গুপ্ত বেণু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল হুদা, মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মকবুল হোসেন মল্লিক, আওয়ামী লীগ নেতা কৃষিবিদ ডাঃ খোরশেদ আলম সেলিম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহমুদ হোসেন মাখন, যুগ্ম সম্পাদক ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান আ. জলিল ঘরামী, যুগ্ম সম্পাদক এটিএম মোস্তফা সরদার, কৃষি সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক ওয়াহীদুজ্জামান দুলাল, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সুব্রত লাল কুন্ডু, বাইশারী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল চক্রবর্তী, ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জগন্নাথ, গাভা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক সুখরঞ্জন সরকার, সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুশীল মাষ্টার, মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মৃধা প্রমূখ।
বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ শাহে আলম প্রায় পৌনে এক কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে গাভা-নরেরকাঠি বধ্য ভূমিতে প্রাচীরসহ ‘দৃষ্টি নন্দন’ স্মৃতি সৌধ নির্মাণ করার উদ্যোগ নিয়েছেন। উল্লেখ্য ১৯৭১ সালের ২ মে গাভা ও নরেরকাঠি গ্রামের ৯৮ জন নারী-পুরুষ ও শিশুকে স্থানীয় রাজাকারদের সহায়তায় ‘শান্তি কমিটি’ করার কথা বলে ডেকে এনে পাক সেনারা বর্বরোচিতভাবে হত্যা করেছিলো।
৭১ সালের ২রা মে দুপুর ২ টা-আড়াইটার দিকে গাভা বাজার ও রায়ের হাট এলাকা থেকে দু’দল পাক সেনা এসে গাভা-নরেরকাঠী গ্রামের লোকজনদের ডেকে বলে “তোমরা এসো তোমাদের নিয়ে শান্তি কমিটি গঠন করা হবে, এটা হলে তোমরা শান্তিতে বসবাস করতে পারবে। তাদের কুটকৌশল বুঝতে না পেরে শতাধিক নারী-পুরুষ সরল বিশ্বাসে তাদের সামনে এলে তারা মুহুর্তের মধ্যে তাদেরকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে খালের পাড় সংলগ্ন জমিতে লাইন দিয়ে দাড় করিয়ে ব্রাশ ফায়ার করে।
প্রায় ২০-২৫ মিনিট তারা পাখি শিকারের মত গুলি বর্ষণ করে। গুলিবিদ্ধ অনেকেই বাচাঁর জন্য খালের পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে তলিয়ে যায়। তাদের আর্ত চিৎকারে তখন আকাশ বাতাসে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। সবার মৃত্যু নিশ্চিত হলে আনন্দে বর্বর পাক সেনারা ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে চলে যায়।