বরিশাল
ধান গবেষণা ইনষ্টিটিউট’র প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা
বিনা ছুটিতে তিন মাস ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল জাতীয় ধান গবেষণা ইনিষ্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা গত ৩ মাসেরও বেশী সময় ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত। অসুস্থতার অজুহাতে গাজীপুরের নিজ বাসায় অবস্থান করে ফোনে অফিস পরিচালনা করছেন তিনি। অফিস প্রধানের এভাবে স্বেচ্ছাচারিতার কারণে চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে গবেষণা ও অনুসন্ধান কাজ। উধর্ক্ষতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি না দেখার ভান করে চুপ রয়েছে। আর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার কারণে ডুবতে বসেছে বরিশাল জাতীয় ধান গবেষণা ইনিষ্টটিউট।
জানা গেছে, দীর্ঘ ৭ বছর ধরে বরিশাল ধান গবেষণা ইনিষ্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (সিএসও) পদে কর্মরত রয়েছেন ড. মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন। স্বাভাবিক নিয়মে ৩ বছরের মধ্যে এই পদে বদলী হবার কথা থাকলেও অদৃশ্য ইশারায় তার দ্বিগুণেরও বেশী সময় পার করেছেন তিনি। অভিযোগ রয়েছে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করেই তিনি একই অফিসে অর্ধযুগ পার করেছেন। তিন মাস পূর্বে গাজীপুরে থাকা অবস্থায় একটি দূর্ঘটনায় আহত হন তিনি। এর পর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শেষে গাজীপুরের নিজ বাসায় অবস্থান তার। দীর্ঘ সময় কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলেও লিখিতভাবে ছুটিও নেননি তিনি। মৌখিকভাবে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েই পেয়েছেন দীর্ঘ ছুটির এই সুবিধা। যা তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন।
জানতে চাইলে ড. মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, অসুস্থ থাকায় লিখিতভাবে ছুটির আবেদন করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু বিষয়টি মৌখিকভাবে ডিজি (মহা পরিচালক) স্যারকে জানানো হয়েছে। আমি আগামী সপ্তাহেই কর্মস্থলে ফিরব। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দীর্ঘ বছর ধরে একই কর্মস্থলে রয়েছেন সত্যি। কিন্তু অফিস পরিচালনায় কোন স্বেচ্ছাচারিতার আশ্রয় নেননি। অফিস প্রধানের দীর্ঘ সময় কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলে নানা সমস্যার জন্ম নেয় বলে স্বীকার করেন তিনি।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অফিসের একাধিক কর্মকর্তা কর্মচারী বলেন, দীর্ঘ বছর ধরে একই কর্মস্থলে থাকায় এবং বরিশালে তার কোন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ না থাকায় যা খুশি তাই করছেন প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ আলমগীর। দীর্ঘসময় অফিসে অনুপস্থিত থাকায় অফিসের সার্বিক কার্যক্রমে ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে। তিনি অনেক আগেই সুস্থ হয়েছেন। কিন্তু উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে তিনি ছুটি কাটাচ্ছেন আর ফোনে ফোনে অফিস চালাচ্ছেন।
তারা আরো বলেন, গতকাল বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীতেও ফোন করে শ্রমিকদের মাঠে কাজ করতে বাধ্য করেছেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের কথা বললে বলেন কিসের বঙ্গবন্ধু, সবাইকে যে ভাবে বলছি সেভাবে কাজ করতে হবে। আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তার বদলী দাবি করছি। এ বিষয়ে জানতে ধান গবেষণা ইনিষ্টিটিউটের ডিজি (মহা পরিচালক) ড. মোঃ শাহজাহান কবির কে একাধিক ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।