বরগুনা
বামনায় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় অবৈধ গরুর হাট; মানছেনা স্বাস্থ্য বিধি
বামনা প্রতিনিধি ॥ আসন্ন ইদুল আযহা উপলক্ষে বরগুনার বামনা উপজেলা প্রশাসনের নির্ধারিত কোরবানির পশুর হাটের বাইরেও বিভিন্ন বাজারে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় বসানো হচ্ছে অবৈধ পশুর হাট। আর এসব হাটে মানাহচ্ছেনা কোন প্রকার স্বাস্থ্য বিধি। বুধবার (২২ জুলাই) সকালে উপজেলার ডৌয়াতলা ইউনিয়নের গুদিঘাটা বাজারের ইজারাদার আমীন মোল্লা, ইউসুফ মাওলানা ও আবু সালেহ নামে তিন প্রভাবশালী ওই বাজারের অবৈধ পশুর হাট বসান। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিনা সুলতানা বিষয়টি অবহিত হলে দুপুর ১টার দিকে পুলিশের সহায়তায় ওই অবৈধ হাটটি ভেঙ্গে দেওয়া হয়। উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানাগেছে, চলমান করোনা পরিস্থিতিতে আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে ধর্মপ্রান মুসলমানরা কোরবানির গরু ক্রয় করতে পূর্বে মতোন হাট না বসিয়ে সমগ্র উপজেলা ব্যাপী ৩টি হাটে পশু ক্রয় বিক্রয়ের জন্য সিদ্ধান্ত নেয়। সেমতে ওই পশুর হাট গুলোতে সংশ্লিষ্ট ইজারাদার সকল প্রকার স্বাস্থ্য বিধি মেনে হাটে পশু কেনা বেচা করার শর্তে ওই হাট তিনটি উপজেলা পরিষদের সভায় অনুমতি পায়। উপজেলার কোরবানির পশু ক্রয় বিক্রয়ের জন্য নির্ধারিত হাট তিনটি হলো বামনা সদরের সফিপুর পশুর হাট, ডৌয়াতলা ইউনিয়নের ডৌয়াতলা বাজার ও বুকাবুনিয়া ইউনিয়নের তালেশ্বর পশুর হাট। এই তিনটি হাট ছাডা আর কোথাও কোরবানির পশু ক্রয় বিক্রয় হবেনা। অথচ ডৌয়াতলা ইউনিয়নের গুদিঘাটা বাজারে একটি প্রভাবশালী মহল প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কোরবানির পশুর হাট বসায়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি অবিহিত হলে দুপুরে হাটটি ভেঙ্গে দেয় পুলিশ। উপজেলার বিভিন্ন হাটের কয়েকজন ইজারাদার জানান, উপজেলা প্রশাসন ৩টি হাটে কোরবানির পশু ক্রয় বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া পরে গুদিঘাটা বাজার, খোলপটুয়া বাজার ও বুকাবুনিয়া বাজারে কোরবানির হাট বসানোর অনুমোতি চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করে ওই বাজার গুলোর সাথে সংশ্লিষ্ট ইজারাদার। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নতুন আবেদন করা ওই বাজার তিনটিতে হাট বসানোর জন্য বরগুনা জেলা প্রশাসকের কাছে অনুমোতি চেয়ে চিঠি পাঠায়। তবে জেলা প্রশাসক করোনা পরিস্থিতিতে নতুন করে কোন হাট বসানোর অনুমোতি দেয়নি। স্থানীয় প্রভাবশালীরা অনুমোতির তোয়াক্কা না করে ওই অবৈধ হাটগুলো বসায়। এব্যপারে ডৌয়াতলা ইউনিয়নের গুদিঘাটা বাজারে গরুর হাটের ইজারাদার আমিন মোল্লা বলেন, আমরা কোন হাট বসাইনি। স্থানীয় লোকজন গরু নিয়ে হাটে এসে ছিলো। পরে পুলিশ এসে তাদেরকে চলে যেতে বললে তারা হাট ছেরে চলে যায়। এদিকে হাটে কেন গরু বিক্রির রশিদ কাটা হলো এব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুটি গরু বিক্রি হয়েছিলো ওই বিক্রিত গরুর রশিদ কাটা হয়েছে। বামনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিনা সুলতানা বলেন, আসন্ন ইদুল আযহা উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন তিনটি পশুর হাটের অনুমোতি দিয়েছে। আরো তিনটি হাটের অনুমোতি চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন পাঠিয়েছিলাম। তিনি নতুন কোন হাটের অনুমোতি প্রদান করেননি। তাই কোথাও এসব অবৈধ হাট বসানো হলে তাৎক্ষনিক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।