বরিশাল
বামনায় ওয়াজেদ আলী খান ডিগ্রি কলেজে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত
বামনা (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ বাংলার অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে বরগুনার বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা ইউনিয়নে হলতা ডৌয়াতলা ওয়াজেদ আলী খান ডিগ্রি কলেজে যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত হয়। দিবসটির তৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস যাথাযোগ্য মার্যাদার সঙ্গে উদযাপনের নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক অধিদপ্তর (মাউশি)। সে লক্ষ্যে আজ ১০ জানুয়ারী ২০২১ইং রবিবার বরগুনা জেলার বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা ইউনিয়নের হলতা ডৌয়াতলা ওয়াজেদ আলী খান ডিগ্রি কলেজে যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও অনলাইনে এ দিবসটি উদযাপন করা হয়। আলোচনায় এ দিবসের তৎপর্য তুলে ধরে বক্তার বলেন- ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারী ভোর রাতে পাকিস্তানের বন্দীদশা থেকে শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্তি দেয়া হয়। একটি বিমানে প্রথমে লন্ডন এরপর দিল্লী আসেন। দিল্লীতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে তাঁকে দেয়া উষ্ণ সংবর্ধনা শেষে দিল্লী থেকে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারী আজকের এ দিনে বেলা ১টা ৪১ মিনিটে বাংলাদেশের ইতিহাসের নির্মাতা সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেন। ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয়ের পর বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুকে প্রাণঢালা সংবর্ধনা জানানোর জন্য আকুল হয়ে অপেক্ষায় ছিল। আনন্দে আত্মহারা লাখ লাখ মানুষ ঢাকা বিমান বন্দর থেকে রেসকোর্স ময়দান পর্যন্ত তাঁকে স্বতঃস্ফূর্ত সংবর্ধনা জানান। বিকাল পাঁচটায় রেসকোর্স ময়দানে প্রায় ১০ লাখ লোকের উপস্থিতিতে তিনি ভাষণ দেন। পরের দিন বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নিয়ে এভাবেই লিখা হয়- ‘স্বদেশের মাটি ছুঁয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসের নির্মাতা শিশুর মতো আবেগে আকুল হলেন। আনন্দ-বেদনার অশ্রæধারা নামলো তার দু’চোখ বেয়ে। প্রিয় নেতাকে ফিরে পেয়ে সেদিন সাড়ে সাত কোটি বাঙালি আনন্দাশ্রæতে সিক্ত হয়ে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু ধ্বনিতে প্রকম্পিত করে তোলে বাংলার আকাশ-বাতাস। জনগণ নন্দিত শেখ মুজিব সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দাঁড়িয়ে তাঁর ঐতিহাসিক ধ্রæপদি বক্তৃতায় বলেন, ‘যে মাটিকে আমি এত ভালবাসি, যে মানুষকে আমি এত ভালবাসি, যে জাতিকে আমি এত ভালবাসি, আমি জানতাম না সে বাংলায় আমি যেতে পারবো কিনা। আজ আমি বাংলায় ফিরে এসেছি বাংলার ভাইয়েদের কাছে, মায়েদের কাছে, বোনদের কাছে। বাংলা আমার স্বাধীন, বাংলাদেশ আজ স্বাধীন।’ সশ্রদ্ধ চিত্তে তিনি সবার ত্যাগের কথা স্মরণ করেন, সবাইকে দেশ গড়ার কাজে উদ্বুদ্ধ করেন। তাঁর এ স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে আখ্যায়িত করেছিলেন ‘অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রা হিসেবে। আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন অত্র কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ সফিকুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধ ও অত্র কলেজের দাতা সদস্য মোঃ মনোয়ার হোসেন খান, শিক্ষক প্রতিনিধির মোঃ নজরুল ইসলাম ও মোঃ মাহবুবুর রহমান, স্থানীয় অভিভাবক সহ সকল শিক্ষক কর্মচারীবৃন্দ। দোয়ার মধ্যে দিয়ে আলোচনা সমাপ্ত হয়।