বরিশাল
বানারীপাড়া মডেল মসজিদ নির্মাণ নিয়ে অপরাজনীতি
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সারা বাংলাদেশের প্রতি জেলা ও উপজেলায় সরকারিভাবে ৫৬০টি মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। জেলা পর্যায়ে ৪ তলা ও উপজেলার জন্য ৩ তলা এবং উপকূলীয় এলাকায় ৪ তলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতি কেন্দ্র নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর করা হয়েছে। তবে বরিশাল জেলার বানারীপাড়া উপজেলায় মডেল মসজিদ নির্মানের স্থান নিয়ে চলছে অপরাজনীতি। সংশোধিত অনুমোদিত প্রকল্পের নকশা অনুযায়ী মডেল মসজিদের জন্য ৪০ শতাংশ জায়গার প্রয়োজন।
২০১৭ সালে সাবেক স্থানীয় সাংসদ তালুকদার মোহাম্মদ ইউনুস ও জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান মডেল মসজিদ নির্মানের জন্য বানারীপাড়া উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন স্থান নির্ধারন করেন। সম্প্রতি স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল নির্ধারিত স্থানটি পরিবর্তন করে পুরান টেম্পু স্টান্ডের সাথের জমিতে মডেল মসজিদ নির্মাণের পায়তারা করছে। মামলার নথি ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, টেম্পু স্টান্ডের সাথের ওই জমিতে ৬০ বছর যাবত ভোগদখলকৃত বসত বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। শধু তাই নয়, জমিতে রয়েছে আদালতের নিষেধাজ্ঞা এবং একাধিক মামলা চলমান। আদালতে বিচারাধীন বিরোধপূর্ণ জমিতে মডেল মসজিদ নির্মানের সিদ্ধান্তে জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে সাবেক সংসদ সদস্য তালুকদার মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, আমি সাংসদ থাকাকালীন স্থানীয় লোকজন ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নিয়ে মডেল মসজিদ নির্মাণের জন্য উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন স্থান নির্ধারন করেছি। সেই প্রস্তাব পাশও হয়েছে। কিন্তু কে বা কাহারা কোন স্বার্থে বিরোধপূর্ণ জমিতে মডেল মসজিদ নির্মাণের পায়তারা চালাচ্ছে তা আমার জানা নেই। তিনি আরো বলেন, যেহেতু মসজিদ সরকারিভাবে করা হচ্ছে তাই সরকারি জায়গায় করাই উওম। তবে মালিকানাধীন জমিতে নির্মান করতে গেলে জমি অধিগ্রহণ করে করতে হবে। সেক্ষেত্রে সরকারকে গুনতে হবে নির্ধারিত বাজেটের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি টাকা।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে কথা হলে বর্তমান সংসদ সদস্য মোঃ শাহআলম বলেন, পুরান টেম্পু স্টান্ডের সাথের ওই জমিতে কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা নেই। তাছাড়া ওটা সরকারি জমি। তাই ওই জায়গায় মসজিদ নির্মান কার সম্ভব। তবে এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানায়, একটি প্রভাবশালী মহল নিজেদের স্বার্থ হাসিলে ওই বিরোধপূর্ন জমিতে সরকারী মসজিদ নির্মাণের পায়তারা চালাচ্ছে। কারন ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি অধিগ্রহণ করতে পারলে মোটা অংকের টাকা হাতাতে পারবে। এদিকে ভুক্তভোগী পরিবারের দাবী, যেহেতু আদালতে বিচারাধীন ও জমিতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তাই আদালত থেকে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত কোনো প্রভাবশালী মহল অবৈধ কার্যক্রম না চালাতে পারে।