বরিশাল
বানারীপাড়ায় ব্যবসায়ীর ওপর সন্ত্রাসী হামলা: ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
বরিশালের বানারীপাড়ায় সন্ত্রাসী হামলায় বন্দর বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মওদুদ (৬২) আহত হয়েছেন। ঐতিহ্যবাহী বানারীপাড়া বন্দর বাজার ব্যবসায়ী সমিতি নির্বাচন- ২০২৪ কে কেন্দ্র করে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কমিটির সদস্য ও বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের কোষাধ্যক্ষ মোঃ মওদুদুর রহমানকে (মওদুদ) দোকান থেকে ডেকে নিয়ে বেদম মারধর করা হয়।
ভোটার তালিকা করায় তাকে এসময় কান ধরিয়ে অপমানও করা হয়। গত পহেলা ডিসেম্বর রবিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে ও হামলাকারীদের গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে বাজারের সকল ব্যবসায়ীর প্রায় দুই ঘন্টা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। খবর পেয়ে বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বায়েজিদ উর রহমান ও থানার ওসি মোঃ মোস্তফা ঘটনাস্থলে গিয়ে এ বিষয়ে সুবিচারের আশ্বাস দিয়ে তাদের শান্ত করে দোকান খোলান।
জানা গেছে,আসন্ন বানারীপাড়া বন্দর বাজার ব্যবসায়ী সমিতি নির্বাচন ২০২৪কে ঘিরে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত হন বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ মওদুদ, মোঃ দুলাল, কৃষ্ণ পাল ও কালা চাঁদ কুন্ড।
রবিবার দুপুরে মুখে মাস্ক পরিহিত এক যুবক মোঃ মওদুদের দোকানে এসে তার সাথে জরুরি কথা বলার ছলে পাশের এক গলিতে নিয়ে তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
এসময় ওই যুবকের সাথে থাকা অন্যান্য দুর্বৃত্তরা ব্যবসায়ী মওদুদকে ভোটর তালিকা হালনাগাদ করলে পেট কেটে নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার হুমকি প্রদান করে। তিনি এসময় একটি কফি হাউজে আশ্রয় নিলে সেখানেও তাকে মারধর ও কান ধরানো হয়।
তাকে মারধরের একটি সিসি টিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। এ ব্যাপারে বাজারের ব্যবসয়ীরা জানান, ২০০২ সালের পরে বাজার ব্যবসায়ী সমিতির কোন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।
বিগত সরকারের আমলে নির্বাচন ব্যতীত পকেট কমিটি করে বাজার পরিচালনা করা হতো।গত ৫ আগষ্ট ছাত্র জনতার গণ অভ্যুত্থানের পরে নির্বাচনের মাধ্যমে একটি স্বচ্ছ কমিটির সিদ্ধান্তে বাজারের ব্যবসায়ীগণ উচ্ছ্বসিত হন।
যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ নানা ভাবে আগাম নিজ নিজ প্রচারণা শুরু করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর সাথে কথা বলে জানা যায় বিএনপি সমর্থিত একটি গোষ্ঠী বিগত আওয়ামী সরকারের মত পকেট কমিটি করার জন্য নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ এবং বানচাল করার লক্ষে এই সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে।