বরিশাল
বাড়ির মালিকের স্ত্রী’র কারনে প্রাণ গেলো তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রী মাইশার
এস এন পলাশ।।
বাবা মায়ের বড় সন্তান মাদ্রাসা ছাত্রী মাইশা আব্দুল্লাহ, তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ছিলেন। বাবা মায়ের সাথে বরিশাল নগরীর একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। সেই বাড়ির মালিকের
স্ত্রী’র হেয়ালিপনায় জীবন গেলো তের বছরের মাইশার।
বড় সন্তানকে হারিয়ে পাগল প্রায় তার বাবা মা।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, নগরীর ২৩নং ওয়ার্ডের রুপাতলী বসুন্ধরা হাউজিং এর আরিয়ান কটেজের নিচ তালায় ভাড়া থাকেন মামুন আব্দুল্লাহ, তার স্ত্রী ও তিন সন্তান ।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলবেলা ঐ ভবন মালিক আবুল কালামের স্ত্রী তাহারাত আক্তার মামুনের বড় মেয়ে মাইশাকে(১৩) ডেকে নিয়ে যায় ভবনের তৃতীয় তলায়। এসময় ছাঁদের কার্নিশে তার একটি জুতা তোলার জন্য মাইশাকে বলে। মাইশা ছাঁদের কার্নিশে গিয়ে জুতা আনতে অপারগতা জানায়। তখন মাইশাকে অনেকটা জোরপূর্বক জুতা তোলার জন্য নামানো হলে পা পিছলে তিনতালার ছাঁদ থেকে নিচে পড়ে যায়।
তখন তাহারাত আক্তার দৌড়ে তার নিজ বাসার রুমে গিয়ে দড়জা আটকে দেয়। ছাদে থাকা তার শাশুড়ি দেখতে পেয়ে চিৎকার দিয়ে বলতে থাকেন মাইশা ছাদ থেকে পড়ে গিয়েছে।
তার চিৎকারের শব্দ শুনে মাইশার বাবা মামুন গিয়ে দেখতে পায় মেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আছে। শরীরের বিভিন্ন জায়গা থেকে রক্ত পড়ছে।
তখন মাইশাকে উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কর্তব্যরত ডাক্তাররা জানান, মাইশার দুটি পা সম্পুর্ণ ভেঙে গেছে ও লিবার ফেটে গেছে তাই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করেন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলের সিসিইউতে ভর্তি করা হলেও রবিবার বিকেল তিনটায় মৃত্যু হয় মাইশার।
তার এই মৃত্যুর জন্য বাড়ির মালিকের স্ত্রী ও বোন ও তার মাকে দায়ী করছেন মাইশার পরিবার। এঘটনায় বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন নিহত মাইশার পরিবার।
মাইশার বাবা মামুন আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা যে বাসায় ভাড়া থাকি সেই বাড়ির মালিকের স্ত্রী ও বোন আমার মেয়েকে ছাঁদের কার্নিশে জুতা তোলার জন্য বাসা থেকে ডেকে নেয় আমাদের অজান্তে। তাদের এই হেয়ালিপনার জন্য আমার মেয়ের মৃত্যু হয়।
আমি মনেকরি পরিকল্পিত ভাবে আমার মেয়েকে তারা হত্যা করেছে। এঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।
এবিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার (ওসি) অপারেশন বিপ্লব কুমার মিস্ত্রি বলেন, আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছে নিহত মাইশার পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পেলে ও তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।