বরিশাল
বাকেরগঞ্জ যত্রতত্র গড়ে উঠছে অবৈধ ইটভাঁটি
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাকেরগঞ্জ, বরিশাল ॥ বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলাজুড়ে গড়ে উঠছে শতশত অবৈধ ইট ভাঁটি। দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। উজাড় করে দিচ্ছে বনসম্পদ। পরিবেশ অধিদফতরের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে লাইসেন্সবিহীন ইটভাঁটির মালিকরা আবাসিক এলাকা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার লোকালয়ের ভিতরে নির্মাণ করছে ইটভাঁটি এবং টিনের চিমনি।
বাকেরগঞ্জে উপজেলার কলসকাঠী ইউনিয়নসহ গারুড়িয়া, দুধল, চরামদ্দি, ফরিদপুর, দাড়িয়াল ইউনিয়নে অবৈধভাবে ইটভাঁটির ছড়াছড়ি। ফসলীয় জমি ও বাড়ি-ঘড়ের ভিতরে ব্যাঙ্গের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে অবৈধ ইটভাঁটি। সরকারের নিষিদ্ধ ড্রাম চিমনি আইন অমান্য করে ইট ভাঁটিগুলোতে কয়লার বদলে কাঠের স্তুপ রেখে পোড়াঁনো হচ্ছে কাঠ। যার ফলে বনসম্পদ উজাড় করে পরিবেশ দূষিত, রবি শস্য, আমের মুকুলসহ সবকিছু নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এমনকি ইট ব্যবসায়ীরা সরকারের কয়েক লাখ টাকা ভ্যট আয়কর ফাঁকি দিয়ে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
আজ (১৯ মে) বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাকেরগঞ্জ উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের চর রঘুনদ্দিন ও কবাই ইউনিয়নের পূর্ব শিয়ালঘূনি গ্রামে কারখানা নদীর তীরে গড়ে উঠেছে একাধিক অবৈধ ইটের ভাঁটি ড্রাম চিমনি। বাকেরগঞ্জ ও পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার সীমান্তবর্তী দুর্গম এলাকায় গড়ে ওঠা এসব ইটের ভাঁটিতে ড্রাম চিমনির ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন বনাঞ্চল উজাড় করে ট্রলি ও ট্রলারযোগে কাঠ এনে ইট ভাঁটিতে জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করার দৃশ্য দেখা গেছে। ড্রাম চিমনির ধোয়ায় ফরিদপুর ও কবাই ইউনিয়নের পরিবেশ বিষিয়ে উঠেছে। যথাযথ অনুমোদন না নেয়ায় এসব ইটের ভাঁটি থেকে মোটা অংকের রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। বেপরোয়াভাবে এসব ইটের ভাঁটি পরিচালনা করায় প্রাকৃতিক পরিবেশ হুমকির মুখে রয়েছে।
পরিবেশ অধিদফতরের বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক মো: আব্দুল হালিম জানান, বাকেরগঞ্জে বছরের শুরুতে প্রথম দিকে একবার আসছিলাম। শীঘ্রই অভিযানে আসবেন বলে জানান তিনি।