বরিশাল
প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার রাজস্ব হারালো সরকার
বাকেরগঞ্জে বন কর্মকর্তার যোগসাজশে সরকারি গাছ কর্তন
মোঃ বশির আহাম্মেদ,বাকেরগঞ্জ ॥ বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের রাস্তার দুই পাশ থেকে শত শত গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে বাকেরগঞ্জ ফরেস্ট অফিসার মনিন্দ্র নাথ হালদারের বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার ৬ নং ফরিদপুর ইউনিয়নের কালু মাস্টারের বাড়ি হতে ভাতশালা বাজার ১ কিঃমিঃ ও ভাতশালা বাজার থেকে কালিসুরি বাজার পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে থাকা বন বিভাগের শতশত গাছ উপজেলা বন কর্মকর্তা মনীন্দ্রনাথ হালদার ও স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের যোগসাজশে চুরি করে বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এতে সরকার প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার রাজস্ব হারিয়েছে। চরম দুর্নীতি পরায়ণ হয়েও মনিন্দ্র নাথ রয়েছেন বহাল তবিয়তে। এ নিয়ে স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এবিষয়ে সাবেক ইউপি সদস্য মনির হোসেন সহ একাধিক ব্যক্তি গণমাধ্যমকে জানান ফরেস্ট অফিসার ও বর্তমান ইউপি সদস্যের চাচা জামাল গাজি ও শাহীন সহ স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল মিলে রাস্তার দুই পাশে থাকা শত শত সরকারি গাছ প্রকাশ্যে দিবালোকে কেটে নিচ্ছে। এ বিষয়ে বারবার উপজেলা বন কর্মকর্তাকে অবহিত করলেও তিনি এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে বরং তাদের সাথে মিলে গত ছয় মাসে প্রায় ১৫০/২০০ শত সরকারি গাছ কেটে নিয়েছে যাহার আনুমানিক মূল্য ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা।
গাছ কাটায় অংশ নেওয়ার শ্রমিক বাবুল শর্নামত জানান, আমি ঠিকাদারের কথায় গাছ কাটতে রাজি হইনি। তবে উপজেলা বন কর্মকর্তা এসে আমাকে গাছ কাটতে বলায় প্রতিদিন ৭ শত টাকা হাজিরায় আমি সহ বেশ কয়েকজন লেবার দিয়ে গাছ কেটে দেই।
এ বিষয়ে উপজেলা মন কর্মকর্তা মনিন্দ্র নাথ হালদারের নিকট জানতে চাইলে, তিনি প্রথমে গাছ কাটার অভিযোগ অস্বীকার করেন। পরবর্তীতে তিনি বলেন, রাস্তার উন্নয়ন কাজের জন্য যে গাছ উপরে ফেলা হয়েছে সে গুলো টেন্ডারের জন্য হেফাজতে রেখে দিয়েছি, তবে ২ শত গাছ টেন্ডার ছাড়া কাঁটার ও তার অর্থ কোথায় আছে তার সদুত্তর দিতে পারেননি।
এ বিষয়ে ফরিদপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম (শফিক) বলেন, আমি এ বিষয় কিছু জানিনা আপনাদের মাধ্যমে জানতে পেলাম। যদি এমন কিছু হয়ে থাকে তাহলে বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিবো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল চন্দ্র শীল গনমাধ্যমে কে জানান এ বিষয় আমার জানা নেই। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।