লিড
কেনাকাটায় ব্যস্ত নারীরা
বাকেরগঞ্জে জমে উঠেছে বাকেরগঞ্জের ঈদ বাজার
মোঃ বশির আহাম্মেদ, বাকেরগঞ্জ ॥ বরিশালের বাকেরগঞ্জে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রমজানের শেষ দিকে মার্কেটে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। কয়েকদিন পরই মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। ঈদ মানেই নতুন পোশাক। নতুন পোশাক ছাড়া ঈদ আনন্দ যেন একেবারেই জমেনা।
বাকেরগঞ্জ পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র সদর রোডের দোকানিরা নতুন পোশাকে সাজিয়ে তুলছেন দোকানসহ শপিংমল। উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়ন থেকে ঈদের জামা কাপড় কিনতে পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র সদর রোডের কাপড়ের দোকানে আসছেন নানা শ্রেণি পেশার মানুষ। চৈত্র মাসের তাপদাহ উপেক্ষা করে ক্রেতাদের আগমনে এখন স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি ভিড়। পৌর শহরে এখনই ছড়িয়ে পড়েছে ঈদ আনন্দ। এবারের জমজমাট বেচাকেনায় খুশি ব্যবসায়ীরাও।
বাকেরগঞ্জ পৌর শহরের সদর রোডের শপিং মল মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, অন্যান্য বছরে তুলনায় ঈদের কালেকশন তুলনামূলকভাবে ভাল। তবে দাম অস্বাভাবিক, আকাশ ছোঁয়া। উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন সকাল থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত তাদের পছন্দ ও প্রয়োজনীয় মালামাল কিনে নিয়ে যান নিজ নিজ এলাকায়। শাড়ি, লুঙ্গি, থ্রিপিস, ওড়না, বোরকা, গজ কাপড়, জুতা, চশমা, ঘড়ি, কসমেটিক্স সহ কোনো কিছুরই কমতি নেই দোকানগুলোতে। এবার বাচ্চাদের ও নারীদের পোশাকে বিভিন্ন রকম ডিজাইনে বৈচিত্র্য এসেছে বেশ। উপজেলার পৌর শহরের শাড়ির দোকান ও থ্রি-পিচের দোকানসহ প্রতিটি মার্কেট ও ফুটপাতগুলোতে উপচে পড়া ভিড়। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ বিক্রেতারা নানা অজুহাত দিয়ে প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।
সদর রোড আফসার উদ্দিন মার্কেট, খান মার্কেট,এম এন প্লাজা, নবারুণ প্লাজা, বাকেরগঞ্জ সুপার মার্কেট, বিন্দু ফ্যাসন, দুলাল এন্ড বস্ত্র বিতান বাকেরগঞ্জ ওয়াজ এন্ড ককপিট সহ কয়েকটি মার্কেট ও ফুটপাত ঘুরে দেখা গেছে ক্রেতাদের পদচারনায় মুখরিত দোকানগুলো। প্রতিটি মার্কেটের দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। তাছাড়া বিভিন্ন শপিংমলে চড়াদামে বিক্রি হচ্ছে ঈদের পোশাক। সদর রোড বাটা, এপেক্স, আফজাল -সু, লোটো সহ জুতোর শোরুম গুলোতেও উপচে পড়া ভিড়।
ঈদ উৎসবের জন্য কেনা করতে আসা অনেক ক্রেতার সঙ্গে কথা হলে অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, এবারের ঈদের কালেকশন তুলনা মূলকভাবে ভাল হলেও দাম আকাশ ছোঁয়া। মার্কেটে কাপড়ের পোশাকের দাম নেওয়া হচ্ছে গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। পাঞ্জাবির দোকানগুলোতে এবার চড়া দামে বেচাকেনা হচ্ছে। গত বছর যে পাঞ্জাবি ১ হাজার টাকা ছিল এবার তা দেড় হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া শার্ট, প্যান্ট, মেয়েদের পোশাক ও শিশুদের পোশাকে দাম হাকানো হচ্ছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা করে বেশি। সদর রোড এলাকায় গড়ে ওঠা অত্যাধুনিক মার্কেটগুলোকে চড়াদামে বিক্রি হচ্ছে কাপড়, শাড়ি, থ্রি পিস, জুতা, স্যান্ডেল থেকে শুরু করে ঈদে ব্যবহৃত পণ্যসামগ্রী। তবে শাড়ি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন কাঞ্চি বরণ শাড়ি এই বছর ঈদে ব্যাপক চাহিদা।
সদর রোড খান মার্কেটে কাপড় ব্যবসায়ীদের সাথে কথা হলে তারা জানান, এই বছর বিক্রি ভালো। ক্রেতাদের চাপ অনেক বেশি। তবে দাম বেশি হওয়ায় অনেকেই কমদামি মাল খুঁজছেন। বাকেরগঞ্জ ওয়াজ এন্ড অপি পিকের প্রোপাইটার শফিকুল ইসলাম মনির জানান চিন থেকে ঘড়ি ও চশমার আমদানি কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে কয়েক গুণ। এই নিয়ে ক্রেতাদের সাথে প্রতিনিয়ত কথা কাটাকাটি হচ্ছে তবে মার্কেটে প্রচুর পরিমানে লোক সমাগাম রয়েছে।