পটুয়াখালী
বাউফলে সেতু নয় যেন মরণ ফাঁদ- চরম ভোগান্তিতে জনগন
মোঃ দুলাল হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা সদর ইউনিয়নের পূর্ব বিলবিলাস গ্রামের দিলার খান বাড়ি সংলগ্ন সেতুটির অ্যাপ্রোজ সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ায় স্থানীয়রা সাঁকোর সংযোগ দিয়ে পারাপার হচ্ছে। সেতুটি পরাপারে জনগন ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। গত বুধবার হঠাৎ করে ওই সেতুটির একপাশের অ্যাপ্রোচ সড়ক ভেঙে যাওয়ায় ওই গ্রামের সংঙ্গে উপজেলা সদর ও অন্যান্য এলাকার সাথে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পরেছে।
ব্রীজ সংলগ্ন স্থানীয় মজিবর মাষ্টার ও মেরিন প্রকৌশলী রুবেল খান বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই সেতুটি নড়বড়ে ছিল। প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই সেতু দিয়ে পারাপার হচ্ছে। বুধবার হঠাৎ করেই সেতুটির পূর্ব পাশের অ্যাপ্রোচ সড়ক ভেঙে যায়। এরপর থেকে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে যায়। বাধ্য হয়েই গ্রামবাসী সেতুটি পারাপারের ক্ষেত্রে বাঁশের সাঁকো দিয়ে সংযোগ স্থাপন করেছে। বর্তমানে ওই সাঁকো ব্যবহার করে এলাকাবাসী উপজেলা সদর ও অন্যান্য এলাকায় যাতায়াত করছেন। ওই চিকন গাছের সাঁকো দিয়ে পারাপারের সময় অনেকে খালে পড়ে গেছে বলে জানা গেছে।
জেসমিন নাহার নামে এক গৃহবধূ জানায়, আমি আমার ছেলে নিয়ে পার হওয়ার সময় নিচে পড়ে গেছি তাই অতি দ্রুত এই সেতু সংস্করণের জন্য দাবি জানাচ্ছি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাযায়, সেতুটির কাছেই পূর্ব দিকে পশ্চিম নুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম দিকে বিলবিলাস মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও বিলবিলাস-২ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। বর্তমানে করোনার কারণে বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। তবে দ্রুত সেতুটি চলাচল উপযোগী করা না গেলে বিদ্যালয় খোলার পর শিক্ষার্থীদের ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হতে হবে।
বাউফল সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন খান বলেন, সেতুর অ্যাপ্রোচ ভেঙে যাওয়ায় এলাকাবাসী দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। অতিশিগ্রই সেতুটি চলাচলের উপযোগী করা দরকার।
উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ সুলতান হোসেন বলেন, অল্প সময়ের মধ্যেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন প্রতিবেদককে বলেন, দ্রত সেতুটি মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হবে।