পটুয়াখালী
বাউফলে খাল দখল মুক্ত না করেই ফিরে গেলেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কেশবপুর বাজার সংলগ্ন খাল দখলমুক্ত না করেই ফিরে গেলেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কেশবপুর ডিগ্রী কলেজ সংলগ্ন বাজার খালটি দখল করে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী দোকানঘর নির্মাণ করেন।
ওই প্রভাবশালীদের একাধিকবার নোটিশ দেওয়ার পরও অবৈধ স্থাপণা সরিয়ে না নেওয়ায় সোমবার (২৪ জুন) উচ্ছেদ অভিযান চালায় পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের একটি টিম। উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ছেনমং রাখাইন। তিনি বুলডোজার দিয়ে ৭টি স্থাপণা গুড়িয়ে দেন। শেষ পর্যন্ত রহস্যজনক কারনে খালের উপর থাকা দুইটি দোকান উচ্ছেদ না করেই তিনি পটুয়াখালী ফিরে যান।
এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কলেজের এক শিক্ষক বলেন, খালটির পাশে থাকা ৭টি স্থাপণা গুড়িয়ে দেওয়া হল। অথচ খালের উপরে থাকা মাইনুল তালুকদার ও রিপন তালুকদারের অবৈধ স্থাপণা উচ্ছেদ করা হয়নি।
এটা কেমন বিচার হল? নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এর এভাবে পক্ষপাতিত্ব করার ঠিক হয়নি। দ্রুত ওই অবৈধ স্থাপণা উচ্ছেদ করে খালটি দখলমুক্ত করার দাবী করেন তিনি। এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ছেনমং রাখাইন বলেন, শিগগিরই আবার ওই অবৈধ স্থাপণা উচ্ছেদ করা হবে।