বরিশাল
বরিশাল শের-বাংলা মেডিকেল করোনা ওয়ার্ড ৬ লক্ষ টাকার স্যানেটারী চুরি
নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল শের-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্ডানাইজেশন ভবন (করোনা) বিল্ডিংয়ের আনুমানিক ৬ লক্ষ টাকার স্যানিটারি মালামাল চুরি হয়েছে। নবনির্মিত এ ভবনটির নিচতলা থেকে তৃতীয় তলা পর্যন্ত প্রায় ৫০টি বাথরুমের ৭/৮ ধরণের স্যানেটারি মালামাল চুরি হয়েছে। করোনা ওয়ার্ডটির দ্বায়িত্বে থাকা দুই ওয়ার্ড মাস্টার ফেরদৌস ও কালাম এব্যাপাওে কিছুই জানেনা। তাহলে কি দেখভাল করা হয়েছে জানতে চাইলে সদউত্তর মেলেনি। চুরি যাওয়া মালামালের মধ্যে রয়েছে বিফকল, বেসিং কল, বেসিন স্টপ কল, কমোডের হ্যান্ড পুশসহ অন্যান্য। সানেটারি এই ফিটিংসগুলো বাজারের দামি ব্রান্ডের ছিলো বলে সুত্রে জানা গেছে। এঘটনায় তিন সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হাসপাতালটির প্রশাসনিক বিভাগ এবং ৭দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশও দেয়া হয়েছে। সূত্রে আরো জানা গেছে, করোনা ওয়ার্ড থেকে এই সময়ে এত টাকার মালামাল চুরি যাওয়া বিষয় নিয়ে আজ শনিবার দুপুরে করোনা সচিব একে আলি আজিমের উপস্থিতে জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমানের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে বেশ গুরুত্বের সাথে বিষয়টি আলোচনা হয়। এব্যাপারে খোঁজ নিতে করোনা ওয়ার্ডের দায়ীত্বরত ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালামকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে করোনা ঠিকমত আমরা ও চিকিৎসকসহ সেবিকা কেহই অতিরিক্ত ঘোড়া-ফেরা করিনা। একেই একটা মনে ভয় কাজ করে বর্তমান সময়ের রোগটি নিয়ে সেখানে এখন দেখলাম চোরের কাছ করোনা-মরোনা বলতে কিছুই নাই তাই এই সুযোগে হয়ত চুরির ঘটনা ঘটতে পারে। কালাম আরো বলেন গত বৃহস্পতিবার বিভিন্ন ওয়ার্ডে পানির সমস্যা হলে আমরা তখনই বিষয়টি খোঁজ নিতে গিয়ে দেখি কলের এসকল মালামাল চুরি হয়ে গেছে। সূত্র মতে বর্তমান করোনা ওয়ার্ড হিসাবে ব্যবহত ভবনটি মর্ডানাইজেশন ভবন হিসাবে বরিশাল গণপূর্ত অধিদপ্তর নির্মান করছেন। ইতি মধ্যে করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় উক্ত ভবনের নিছতলা থেকে তৃতিয়তলা পর্যন্ত করোনা রোগীদের জন্য ব্যবহার শেবাচিম পরিচালককে ভবনটি ব্যবহার করার জন্য মৌখিকভাবে দেওয়া হয় বলে গণপুর্তসূত্রে জানা গেছে। সূত্রে আরো জানা গেছে, গণপূর্ত শেবাচিম ইউনিটের সহকারী প্রকৌশলী ফিরোজ আলম(বিদ্যুত) উক্ত ভবনের ১শ৪৫ টি চাবী ওয়ার্ড মাস্টার ফেরদৌস ও আবুল কালামকে বুঝিয়ে দেয় এবং এর আগে উক্ত ইউনিটের প্রকৌশলী (সিভিল) সেলিম তালুকদার বিদ্যুতের দ্বায়িত্বে থাকা প্রকৌশলী ফিরোজকে এই চাবি লিখিতভাবে বুঝিয়ে দেয় চলতি বছরের এপ্্িরল মাসের ৭ তারিখ। এদিকে এব্যাপারে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালক ডা. বাকির হোসেন বলেন, আমরা এই চুরি যাওয়ার ঘটনায় আমাদের সচিবের উপস্থিতিতে জেলা প্রশাসকের দপ্তরের সভায় আলোচনা হয়েছে। এব্যাপারে তদন্ত কমিটি হয়েছে এবং প্রতিবেদন পেলেই ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এদিকে ওয়ার্ড মাস্টার কালামের বিরুদ্ধে হাসপাতালের একাধিকসুত্র জানায়, চাকুরীজীবনের অন্তিম সময় পর্যন্ত ওয়ার্ড মাস্টার কালাম শেবাচিমেই পার করেছেন। এসুবাধে তার একটি সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে হাসাতালজুড়ে আর সিন্ডিকেটে স্থানীয় চক্রও রয়েছে। ময়নাতদন্ত করতে আসা লাশের স্বজনদের থেকে ঘুষবাজি, ডিউটি বন্টনে অধিনস্তদের থেকে উপরি হাতানোসহ হাসপাতালের সামনের জায়গাজুড়ে ভাসমান দোকান থেকেও মাসোয়ারাসহ ডিউটি ফাকিতেও তার রেকর্ড রয়েছে। অথচ বছরের পর বছর এহেন কর্মকান্ডের পরেও শেবাচিমেই বহাল তবিয়তে রয়েছে এ দুষ্টচক্র। হাসপাতালের একাধিক সুত্র আরো জানায় কালামের ডিউটি কর্মঅবহেলা নতুন কিছু নেই বরং করোনাকালীন এসময়ে করোনার ভয়কে পুজি করে সে সুবিধা বাগিয়ে নিচ্ছে।