বরিশাল
বরিশাল শেবাচিমে চিকিৎসাধীন অগ্নিদগ্ধরা শংকামুক্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক॥ বরিশাল মেডিকেলে চিকিৎসাধীন লঞ্চে অগ্নিদ্বগ্ধরা এখন আশংকামুক্ত বলে জানিয়েছেন ঢাকার বার্ন বিশেষজ্ঞরা। আইসিইউ’তে থাকা ৩ জনকে সার্জারি ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়েছে। এই ৩ জন সহ সার্জারি বিভাগে ৩৩ জন এবং অর্থপেডিক বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২জন। স্থানীয় চিকিসায় সুস্থ হয়ে আগামী এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে বাড়ি ফিরতে পারবে তারা। এ কারণে আজ ঢাকায় ফিরে গেছেন বার্ন বিশেষজ্ঞ ৭ চিকিৎসক। তাদের সেবায় সুস্থতা বোধ করে সন্তুষ্ট রোগীরা। বর্তমানে চিকিৎসাধীন স্থিতিশীল রোগীদের স্থানীয়ভাবেই চিকিৎসা দেযা সম্ভব বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক।
গত ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসায় কিছুটা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন লঞ্চে অগ্নিদ্বগ্ধ ৯ জন। আইসিইউতে থাকা ৩ জন আশংকামুক্ত হওয়ায় তাদের সার্জারি ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। এই ৩জন সহ সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন ৩৩জন রোগী। অর্থপেডিক বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন ২জন। ঢাকার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সেবায় দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন তারা। তাদের সন্তুষ্ট দ্বগ্ধ রোগীরা।
ঢাকার বার্ন বিশেষজ্ঞ ডা. নুরুল আলম জানান, শেবাচিমে চিকিৎসাধীন দ্বগ্ধ সব রোগী এখন শংকামুক্ত। আগামী এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে সবাই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পারবেন বলে তারা আশা করেন। এ কারণে ঢাকায় ফিরে যাচ্ছেন তারা।
শের-ই বাংলা মেডিকেলের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম জানান, লঞ্চে দ্বগ্ধ রোগীরা ঢাকার বার্ন বিশেষজ্ঞদের চিকিৎসায় অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠেছে। ক্রমেই তাদের অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। এ কারণে বিশেষজ্ঞরা ঢাকায় ফিরে গেছেন। এখন শেবাচিমের চিকিৎসরাই রোগীদের পরবর্তী চিকিৎসা দিতে পারবেন। সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে দ্বগ্ধ রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।
ঝালকাঠিতে লঞ্চে অগ্নিদ্বগ্ধ মোট ৮১ জনকে ভর্তি করা হয়েছিলো শেবাচিম হাসপাতালে। বার্ন ইউনিট না থাকায় সার্জারি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিলো তাদের। পরে সরকারের নির্দেশে ঢাকার ৭জন বার্ন বিশেষজ্ঞ বরিশাল আসেন তাদের চিকিৎসায়।