বরিশাল
বরিশাল পোর্টরোডে মন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রীর খানা নাই, খান হাবিব যা কইবে হেইয়াই অইবে
নিজস্ব প্রতিবেদক : এডা পোর্ড রোড, এহানে আফজাল মেয়া, মন্ত্রী, মিনিস্টার ও প্রধানমন্ত্রীর খানা নাই। খান হাবিব যেয়া কইবে হেইয়াই অইবে। কথাগুলো দাম্ভিকতার সহিত বলছিলেন, বরিশাল পোর্টরোড মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি খান হাবিবের সহযোগী এনায়েত। তার এমন বক্তব্যে হতবাক ঘটনাস্থলে থাকা লোকজন।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, আবুল হাসেম হাওলাদারের ছেলে রাসেল পোর্টরোডে দীর্ঘদিন যাবত সবজি বিক্রি করে আসছেন। শনিবার (১৬ মার্চ) সকালে মৎস্যজীবী লীগের লীগের সভাপতি খান হাবিবের নির্দেশে সবজি বিক্রেতা রাসেলের দোকান দখল করতে যায় এনায়েতসহ ৪/৫ জন। খান হাবিবের সহযোগী এনায়েত রাসেলকে দোকান সড়িয়ে নিতে বললে। রাসেল জানতে চায় কি কারনে দোকান সড়িয়ে নিতে হবে?। সেসময় এনায়েত উচ্চস্বরে বলতে থাকেন খান হাবিব বলছে দোকান সড়াতে তাই তোকে এখান থেকে চলে যেতে হবে।
এনায়েতের এমন কথা শুনে রাসেল বলেন, আমি ইকটু আফজাল ভাইকে কল দেই তার সাথে কথা বলেন। রাসেলের এমন কথার পরিপেক্ষিতে খান হাবিবের সহযোগী এনায়েত বলতে থাকেন, এডা পোর্ড রোড, এহানে আফজাল মেয়া, মন্ত্রী, মিনিস্টার ও প্রধানমন্ত্রীর খানা নাই। খান হাবিব যেয়া কইবে হেইয়াই অইবে। এ সময় ঘটনাস্থলে সাংবাদিকরা উপস্থিত হলে তাদের উপর চড়াও হয় এনায়েত। তিনি বলেন, ছবি তোলে তুলুক দেখমু হানে কি হয়।
অবৈধভাবে দোকান দখল ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে এমন মন্তব্যে হতবাক ঘটনাস্থলে থাকা লোকজন।
এবিষয়ে পোর্ট রোড মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি খান হাবিব বলেন, এনায়েতকে আজকে থেকেই কাজ থেকে বাদ দিয়ে দেয়া হবে। আমরা সকলেই আওয়ামী লীগের লোক।
এ বিষয়ে বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানার এস আই আক্তার জানান, ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। উভয় পক্ষকে থানায় আসতে বলা হয়েছে।’’