বরিশাল
বরিশালে হাসপাতালের ভিতরে সে যেই হোক তাকে মাস্তানী করতে দেওয়া হবে না-জেলা প্রশাসক
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল জেলায় করোনা মহামারী সংকট উত্তরণ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয় নিয়ে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য যৌথ বিভাগের সাথে বিশেষ প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বুধবার (৪ আগস্ট) সকাল ১১ সার্কিট ধাঁনসিড়ি হাউজ সম্মেলন কক্ষ জেলা প্রশাসন জসীম উদ্দীন হায়দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন, শের -ই বাংলা- মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচাল ডা. সাইফুল ইসলাম, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) প্রশান্ত কুমার দাশ,এনডিসি নাজমুল হুদা, সহকারী কমিশনার সুব্রত কুমার দাশসহ প্রিন্ট ও ইলেক্টট্রনিক্স মিডয়ার সংবাদকর্মীরা।
এসময় জেলা প্রশাসক বলেন, শেরইবাংলা মেডিকেলে করোনার জন্য ৩ শত বেডে উন্নীত করেছি। বরিশাল জেনারেল হাসপাতালকে ১ শত বেডে উন্নীত করেছি। গর্ভবতি মায়েদের জন্য নগরীর মা ও শিশু হাসপাতালকে ২০ বেডে রুপান্তিরিত করা হলেও ৩০ বেডের চিকিৎসা দিতে পারবো। এছাড়াও বরিশালের ৩ টি বেসরকারি হাসপাতালকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ।
এছাড়া বরিশাল জেলার প্রতিটি উপজেলায় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ২০টি বেডে স্থাপন করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন আমার জেলার চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নের স্বার্থে বাহিরের জেলার রোগীর আসার ক্ষেত্রে আমি আমার সিমানা এলাকায় প্রয়োজনে সিলগালা করতে বাধ্য হব।
এই জন্য তিনি বরিশাল বিভাগের অন্য জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য জরুরীভাবে তাদেরকে আন্তরিকতার সাথে কাজ করারও আহবান।
এক প্রর্যায়ে জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার বলেন করোনা রোগীদের সুষ্ট চিকিৎসার স্বার্থে হাসপাতালের ভিতরে সে যতো বড় প্রভাবশালী ব্যক্তিই হোক না কেন এখানে কারো মাস্তানী বরদাস্থ করা হবেনা। আমরা অচিরেই এসব অত্যাচার কঠোর হাতে দমন করবো। এই জন্য জেলা প্রশাসক সংবাদ কর্মী ও সংবাদকর্মীদের সকল সংগঠনের সর্বত্মক সহযোগীতা কামনা করেন।
প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠানে শেরই বাংলা মেডিকেলের পরিচালক ডাঃ সাইফুল ইসলাম বলেন বর্তমানে ১০৭ টি সেন্টাল অক্সিজেন রয়েছে। ৪২ টি আইসিইউ বেড রয়েছে। ৩০ টা চলমান। করোনা ওয়ার্ডে সিলিন্ডার ৬ শত ১৬ এর মধ্যে ছোট ৫৯৩ এবং বড় ৫০টি। ইতিমধ্যে অক্সিজেন সঠিকভাবে বন্টনের জন্য ৫ সদস্য কমিটি করে দেয়া হয়েছে।
বর্তমানে করোনা ওয়ার্ডে ৩শত ৫০ রোগি রয়েছে। তার পরেও ৭ শত রোগি হলেও অক্সিজেনর সিলিন্ডারের কোন সমস্যা হবেনা।
তিনি আরো বলেন, শুধু বরিশালেরই নয় ঢাকা ও খুলনার রোগিও শের ই বাংলায় অনেক আশা নিয়ে ভর্তি হয়। আমরা তাদের আন্তরিকতার সাথে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি।