বরিশাল
বরিশালে স্পিডবোট ঘাট নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়ার তালতলী বাজার এলাকার স্পিডবোট ঘাটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে অস্থিরতা চলছে। কয়েকদিন আগে আওয়ামী লীগ কর্মী পরিচয়ে মজনু নামের একজন ঘাটের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এর আগে ঘাটটি মেহেন্দিগঞ্জর স্পিটবোট মালিকদের নিয়ন্ত্রণে ছিল।
অভিযোগ রয়েছে, নগরীর ক্ষমতাসীন দলের একটি চক্রের ছত্রছায়ায় মজনুকে সামনে রেখে ঘাটটি নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন ঘাটটি মেহেন্দিগঞ্জ স্পিটবোট মালিকদের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এখন একটি পক্ষ ঘাটের নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আর এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন এ রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা। তালতলী থেকে মেহেন্দিগঞ্জের পাতারহাট পর্যন্ত স্পিডবোটে যাত্রী পরিবহন করা হয়।
মেহেন্দিগঞ্জ স্পিডবোট মালিক সমিতির সভাপতি মনির জমাদ্দার জানান, নদীবেষ্টিত মেহেন্দিগগঞ্জ উপজেলার জনগণের যাত্রীাবাহী লঞ্চের ওপর নির্ভরশীল। নির্ধারিত সময় ছাড়া বরিশাল-মেহেন্দিগঞ্জে যাতায়াত করা যেতো না। কমপক্ষে পাঁচ বছর আগে তারা পাতারহাট থেকে তালতলী বাজার পর্যন্ত স্পিডবোটে যাত্রী পরিবহন শুরু করেন। তাদের সমিতির বোট ৬০টি। কিন্তু তালতলী বাজার এলাকার বাসিন্দা মো. মজনুর চারটি বোট ছিল। এক সপ্তাহ আগে তিনি বাহির থেকে আরও কয়েকটি বোট এনে সিরিয়ালের ক্ষেত্রে মেহেন্দিগঞ্জের মালিকদের সমান ভাগ দাবি করেন। ৬০টি বোটের বিপরীতে ৮-১০টি বোট দিয়ে সমান ভাগ দিতে রাজী নন মেহেন্দিগঞ্জের মালিকরা। এনিয়ে গত এক সপ্তাহ যাবত তালতলী বাজার এলাকায় উত্তেজনা চলছে।
মনির জমাদ্দার আরও জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে মেহেন্দিগঞ্জের মালিকরা তালতলা বাজারে বোট থামানো বন্ধ করে দিয়েছেন। তারা কিছুটা দূরে বেলতলা ও সায়েস্তাবাদে যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছেন। এতে যাত্রীদের কিছুটা ভোগান্তি হলেও বোট চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে মজনু বলেন, মেহেন্দিগঞ্জ মালিক সমিতির নামে দীর্ঘদিন চাঁদাবাজী চলছিল। বরিশালের মালিকরা এক সপ্তাহে একটি সিরিয়াল পেতো না। তিনি এর প্রতিবাদ করায় মেহেন্দিগঞ্জের মালিকরা স্বেচ্ছায় বোট বরিশাল থেকে সরিয়ে নিয়েছেন। তবে তারা এ রুটে বোট চলাচল স্বাভাবিক রেখেছেন বলে জানান।
মনির জমাদ্দার জানান, এ বিষয়ে মজনুর সঙ্গে সমঝোতা বৈঠক বসা হয়েছিলো। কিন্তু সে নিজের ইচ্ছে মতো বোট চলাচল করার কথা জানান। এতে মেহেন্দিগঞ্জ স্পিডবোট মালিক সমিতির কেউ রাজি হননি। তাই বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্যকে জানানো হলে সে আগামী মঙ্গলবার বিষয়টি সমাধান করে দিবেন বলে জানিয়েছেন। আর এতে মজনু রাজি না হলে বরিশালের বোট মেহেন্দিগঞ্জে থামতে দেওয়া হবে না।
এ ব্যাপারে কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, তালতলি স্পিডবোট ঘাটের দখল কিংবা দখল ইস্যুতে কোনো পক্ষ তার কাছে আসেনি। সেখানে স্পিডবোট চলাচল ব্যাহতের খবরও জানেন না।’