বরিশাল
বরিশালে শেষ দিনে জমে উঠেছে কাঠের গুঁড়ি-চাটাইয়ের কেনাবেচা
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাত পোহালেই কোরবানির ঈদ। ঈদ সামনে রেখে কাঠের গুঁড়ি, চাটাইসহ কোরবানির আনুষঙ্গিক উপকরণ বেচাকেনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। এসব সামগ্রী নিয়ে বরিশাল নগরীর মোড়ে মোড়ে বসেছেন দোকানিরা।
নগরীর কোরবানিদাতাদের অনেকেরই কোরবানির পশু কেনা হয়ে গেছে। আর যারা এখনো কেনেননি তাদের চলছে শেষ সময়ের ব্যস্ততা। কোরবানির পশু জবাই আর ভাগবাটোয়ারার জন্য প্রয়োজন কাঠের গুঁড়ি ও চাটাই। সাময়িক এই প্রয়োজনকে কেন্দ্র করে দুই-তিনদিন আগ থেকেই নগরের পশুর হাটগুলোর আশপাশে এবং বিভিন্ন মোড়ে এসব সামগ্রী সাজিয়ে বসেছে অস্থায়ী দোকানগুলো।
নগরীর হাটখোলা এলাকায় মাংস কাটার কাঠের গুঁড়ি বিক্রি করছেন রাজা মিয়া। তিনি জানান, গাছের গুঁড়িগুলো সাধারণত তেঁতুল গাছের হয়। তবে কেউ কেউ কড়ই গাছের গুঁড়িও কেনেন। যদিও কড়ই গাছের গুঁড়ি থেকে কাঠের গুঁড়া বেরিয়ে তা মাংসের সঙ্গে লেগে যায়। তবে বেল গাছের গুঁড়িও ভালো।
তিনি বলেন, ‘তেঁতুল ও কড়ই কাঠের গুঁড়ি নিয়ে এসেছি পটিয়া থেকে। তেঁতুল কাঠ হলে তিনশ থেকে চারশ, কড়ই কাঠ হলে দেড়শ থেকে দুইশ টাকায় বিক্রি করেছি।’
নগরীর স্ব-রোড এলাকায় চাটাই বিক্রি করছেন সামসুদ্দিন। এক সপ্তাহ আগে পর্যন্তও একই জায়গায় ফুটপাতে তিনি কাঁঠালের ব্যবসা করতেন। এককথায় তিনি একজন মৌসুমি ব্যবসায়ী।
সামসুদ্দিন বলেন, ‘যখন যেটা পাই সেটা করি। প্রতিবছর কোরবানিতে চাটাই নিয়ে আসি বিভিন্ন অঞ্চল থেকে। এসব চাটাই তৈরি হয় হোগলা পাতা দিয়ে। ছয় হাত চাটাইয়ের দাম রাখছি ৪০০ টাকা। আশপাশের দোকানের আরও পাবেন তবে সেগুলো পরিষ্কার না। আর বাঁশের চাটাইয়ে শরীর কেটে যায়।’
কাঠের গুঁড়ি আর চাটাইয়ের পাশাপাশি জমে উঠেছে খড়, ভুসি বেচাকেনাও। গম বা ছোলার ভুসি ছাড়াও গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত বিভিন্ন ভুসি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে। শুকনা খড়ের আটি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৫০ টাকায়। কাঁচা ঘাস বিক্রি হচ্ছে কম-বেশি ৫০ টাকা আঁটিতে।