বরিশাল
বরিশালে রাতের আঁধারে ড্রেনের লোহার স্ল্যাব চুরি, চলাচলে ভোগান্তি
বরিশালে রাতের আঁধারে ড্রেনের স্ল্যাব তুলে নিয়ে যাচ্ছে সংঘবদ্ধ একটি চক্র। তবে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে অপরাধীদের কিছু দৃশ্য আটকা পড়েছে। এর সূত্র ধরে তদন্তে নেমে সঠিক অপরাধীদের বের করে আনার দাবি জানান ভুক্তভোগীরা।
তবে অভিযোগ উঠেছে, সিটি করপোরেশন থেকে ঠিকাদারি কাজ পেতে কিছু অসাধু ঠিকাদার এমন ঘটনা ঘটাচ্ছে। জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার কথা জানায় পুলিশ।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, বরিশাল নগরীর বগুড়া রোড এলাকায় রাস্তার পাশের ড্রেনের স্ল্যাব টেনে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। শুধু বগুড়া রোডই নয়। নগরীর অক্সফোর্ড মিশন রোড, বটতলা, ভাটিখানা, বিএম কলেজ রোডসহ অনেক এলাকারই ড্রেনের স্ল্যাব নেই।
স্থানীয়রা জানান, সংঘবদ্ধ একটি চোর চক্র রাতের আঁধারে ড্রেনের ওপরের লোহার স্ল্যাব চুরি করছে। এতে প্রতিনিয়ত চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের।
রফিক নামে স্থানীয় একজন জানান, বেশ কিছুদিন ধরে এই ড্রেনের সব স্ল্যাব চুরি হচ্ছে। এতে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটছে। আমরা এ সবের সমাধান চাই।
আনিছ নামে আরেকজন জানান, ড্রেনের স্ল্যাব চুরির ঘটনা বরিশালে প্রথম। ফুটপাতে এতে আমাদের নগরবাসীর হাঁটতে কষ্ট হচ্ছে। আশা করি সংশ্লিষ্টরা দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।
তিনি আরও জানান, অভিযোগ উঠেছে, সিটি করপোরেশনের ঠিকাদারি কাজ পেতে কিছু অসাধু ঠিকাদার এমন ঘটনা ঘটাচ্ছেন। আমরা চাই দ্রুত জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হোক। পাশাপাশি এগুলো সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হোক।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান বিপ্লব জানান, এ ঘটনায় জড়িতদের ধরতে এরই মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেসব জায়গায় ড্রেনের স্ল্যাব চুরি হয়েছে এরই মধ্যে সেগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। দ্রুত এসব সংস্কারের আওতায় আনা হবে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ফজলুল করিম বলেন, চুরির সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
২০০২ সালে গঠিত ৫৮ বর্গ কিলোমিটারের বরিশাল সিটি করপোরেশনের লোকসংখ্যা প্রায় ৬ লাখ। ৩০টি ওয়ার্ডে ৫৩০ কিলোমিটার রাস্তার দুপাশের ফুটপাতের ড্রেনে ৫ হাজারের বেশি লোহার স্ল্যাব রয়েছে।