বরিশাল
বরিশালে মাদক বিক্রিতে বাঁধা দেয়ায় যুবককে কুপিয়ে জখম
নিজস্ব প্রতিবেদক : মাদক বিক্রির প্রতিবাদ করায় মো. রেজাউর রহমান অপু নামের এক যুবককে কুপিয়ে জখম করেছে ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির (আইএইচটি) কয়েকজন শিক্ষার্থী। রোববার সন্ধ্যায় ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসংলগ্ন সড়ক দিয়ে রিকশাযোগে যাওয়ার প্রাক্কালে তার ওপর স্থানীয় তালহা জুবায়ের এবং হাবিবুর রহমান বাপ্পির নেতৃত্বে আইএইচটির অন্তত ১০ শিক্ষার্থী এই হামলা করে। রিকশা থেকে টেনে হিচড়ে রাস্তায় ফেলে কুপিয়ে ও পিটুনি দিয়ে অপুকে পার্শ্ববর্তী পরিত্যক্ত ভবনের ভেতরে নিয়ে আটকে রাখা হয়। পরবর্তীতে ভোর রাতে যুবকের ডাক-চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
সোমবার সকালে সংঘাত ও রক্তপাতের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশ।
রেজাউর রহমান অপু এজাহারে উল্লেখ করেছেন, স্থানীয় তালহা জুবায়ের এবং হাবিবুর রহমান বাপ্পির নেতৃত্বে আইএইচটির শিক্ষার্থী আল শাহারিয়া, তাহামিদুল হক ফাহিম, মো. তুহিনসহ অন্তত ১০ জন মিলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে মাদকের বাজার খুলে বসেছে, যা বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অবৈধ বাণিজ্যের প্রতিবাদ করতে গিয়ে সম্প্রতি রোষানলে পড়েন তিনি এবং ওই দিন কোনো মতে প্রাণে রক্ষা পেলেও পরবর্তীতে তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।
সেই ঘটনার জের ধরে গতকাল রাত ৯টার দিকে আইএইচটির সম্মুখে সড়কে হামলার শিকার হলেন যুবক রেজাউর রহমান অপু। তিনি জানান, সড়কটি হয়ে বাসায় যাওয়ার প্রাক্কালে তাকে বহনকারী রিকশাটির গতি রোধ করে তালহা জুবায়ের এবং হাবিবুর রহমান বাপ্পিসহ আইএইচটির শিক্ষার্থী আল শাহারিয়া, তাহামিদুল হক ফাহিম, মো. তুহিনসহ অন্তত ১০ জন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা রিকশা থেকে টেনে হিচড়ে নামানোসহ ধারালো অস্ত্রের আঘাত করে। এতে অপুর মাথা গুরুতর জখম হলেও হামলাকারীরা তাকে ছেড়ে না দিয়ে পার্শ্ববর্তী শেবাচিম হাসপাতালের পরিত্যক্ত কোয়াটারের ভেতরে নিয়ে আটকে রাখাসহ মারধর করতে থাকে। ভোর রাত ৪টার দিকে তার ডাক-চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে গেলে অপুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
হামলা ও অপহরণ করে নির্জন স্থানে আটকে রাখার এই ঘটনায় রেজাউর রহমান অপু বাদী হয়ে সোমবার দুপুরে কোতয়ালি মডেল থানায় একটি এজাহার জমা দিয়েছেন। তবে একই ঘটনায় পাল্টা আরও একটি অভিযোগ হয়েছে জানিয়ে ওসি মো. আরিচুল হক বলেন, খবর পেয়ে সোমবার সকালে তিনিসহ মেট্রোপলিটন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তারসহ নানান বিষয় নিয়ে আইএইচটিতে দুটি গ্রুপের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। সেই বিরোধীয় জেরে এই সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের।
ওসি জানান, রাতের ওই ঘটনায় থানায় পাল্টাপাল্টি দুটি অভিযোগ হয়েছে, যা এসআই পদমর্যাদার কর্মকর্তা তদন্ত করছেন।’