বরিশাল
বরিশালে মসজিদে এসি চালানো নিয়ে মারামারি, আহত ৭,আটক ৫
বরিশাল ব্যুরো।।
এসি ও ফ্যান একসাথে চালানোকে কেন্দ্র করে বরিশাল নগরীর ভাটিখানা এলাকার জোড় মসজিদে মুসল্লীদের মধ্যে বাকবিতান্ডার ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে একপর্যায়ে মারামারি ঘটনা ঘটলে সাতজন আহত হয়েছে।
রোববার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে তারাবির নামাজ আদায় শেষে এ ঘটনা ঘটলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে এবং হামলার ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৫ জনকে আটক করে। সেইসাথে আহতদের উদ্ধার করে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি করেছেন স্বজনরা।
আটককৃতরা হলো ওই এলাকার বাসিন্দা সুলতান আহম্মেদ খানের ছেলে সাজোয়ান খান (৩৫), আসাদুজ্জামেনর ছেলে নাইম ইসলাম (২৬), আ. মান্নান খানের ছেলে মহিবুল (২৮), সাজ্জাদ কবিরের ছেলে সাজ্জাদ সাইম নিসান (২৯) ও ইদ্রিস আলী খানের ছেলে মিরাজ খান (৩৪)।
মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি ইউনুস আলী বলেন, রোববার রাতে জোড় মসজিদে তারাবির নামাজের সময় এসি ও ফ্যান চালানো নিয়ে মুসল্লীদের একটি গ্রুপ উশৃঙ্খল কথাবার্তা শুরু করে।
নামাজ শেষে এ নিয়ে তিনি কথা বলতে গেলে রাজ্জাক খান ও সুলতান খান বাকবিতান্ডায় লিপ্ত হন। এরই ধারাবাহিকতায় মসজিদের ভেতর বসেই তিনিসহ ভাইদের ওপর হামলা চালায় রাজ্জাক খান ও সুলতান খান। এসময় মুসল্লিদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হলেও পরবর্তীতে তারা মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় রাজ্জাক খানের ছেলে বাবু ও সুলতান খানের ছেলে সাজওয়ান খানসহ ১০-১৫ জন মিলে তাদের ওপর পুনরায় হামলা চালায় এবং মারধর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাদের উদ্ধার করে এবং হামলাকারী বেশ কয়েকজনকে ধরে নিয়ে যায়।
মসজিদ কমিটির উপদেষ্টা রশিদ তালুকদার বলেন, ঘটনার সূত্রপাত আসরের নামাজের সময় কালাম নামে এক ব্যক্তির উশৃঙ্খল আচরণ থেকে।
সে এসি চলাকালীন সময়ে ফ্যান ছাড়া নিয়ে আসরের নামাজের সময় চিল্লাচিল্লি করে, তখন বিষয়টি থামিয়ে দেয় মসজিদ কমিটির লোকজন। এরপর মাগরিবের নামাজে কোন সমস্যা না হলেও তারাবির নামাজে পুনরায় এসি চলাকালীন সময়ে ফ্যান চালু ও বন্ধ করা নিয়ে সুলতান খান ও তার স্বজনরা কমিটির লোকজনের সাথে উশৃঙ্খল আচরণ করে। যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমরা তিন ভাই মারধরের শিকার হয়েছি।
এদিকে সুলতান খান বলেছেন, এসি চালাতে বলায় সেক্রেটারি ইউনুস ও তার ভাইয়েরা আমাকেসহ কয়েকজনকে মারধর করেছে। শুধু তাই নয়, মারধর করার সময় আমার সাথে থাকা প্রায় পোনে তিনলাখ টাকাও নিয়েছে তারা।
তিনি আরো বলেন, মসজিদে ঝামেলাও করলো তারা আবার আমাদের নামেই মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে সুলতান খানসহ স্বজনরা।
বরিশাল মেট্রোপলিটনের কাউনিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহমান মুকুল জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা ৫ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।