বরিশাল
বরিশালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ভাঙচুরকারীকে প্রধান শিক্ষক বানাতে মরিয়া আ’লীগ নেতা
নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশাল সদর উপজেলায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ভাঙচুরকারীকে প্রধান শিক্ষক বানাতে ব্যস্ত রয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা। সদর উপজেলার পতাং উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০০৩ সালে কর্মরত তৎকালীন খন্ডকালীন শিক্ষক, বিএনপি নেতা সামছুল হক খন্দকার জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ভাঙচুর করায় বিদ্যালয় থেকে বহিস্কার করা হয়। পরবর্তীতে তিনি একই উপজেলার হিজলতলা মৌলভীরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন।
জানা গেছে, ২০২০ সালে প্রধান শিক্ষকের পদ শূণ্য হলে তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। গত ০২/০৬/২০২৩ ইং তারিখে জাতীয় দৈনিক যুগান্তর ও স্থানীয় দৈনিক বরিশাল প্রতিদিন পত্রিকায় প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলে ১২ জন প্রার্থী চার হাজার টাকার ব্যাংক ড্রাফটসহ আবেদন করেন।
স্থানীয়রা জানান, সদর উপজেলার চাদপুরা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সভাপতি ফারুক আলম খান হিজলতলা মৌলভীরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হওয়ার জন্য শিক্ষক প্রতিনিধির ভোট পেতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ভাঙচুরকারী বিএনপি নেতা সামছুল হক খন্দকারকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বানানোর অঙ্গীকার করেন। অঙ্গীকার মোতাবেক দৌড়ঝাপও শুরু করেন। পরপর ২ বার গোপনীয়ভাবে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষার তারিখ ধার্য করেন, কিন্তু জানাজানি হওয়ায় প্রত্যেকবার স্থগিত করেন।
সর্বশেষ আগামী ২৮/০৬/২০২৪ ইং তারিখ বরিশাল নগরীর শহীদ আরজু মনি সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগের পরীক্ষার তারিখ ধার্য করেন কিন্তু গত ১০/০১/২০২৪ ইং তারিখ ও ২৫/০১/২০২৪ ইং তারিখে শিক্ষা মন্ত্রাণালয়ের জারিকৃত প্রজ্ঞাপন তথা সরকারী বিধি উপেক্ষা করে প্রত্যেক প্রার্থীকে নিয়োগ পরীক্ষার কমপক্ষে ১৫ দিন পূর্বে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে ছবিসহ ইন্টারভিউ কার্ড ইস্যু না করে, মেধাবী প্রার্থীদের বাদ দিয়ে মাত্র ৫ জন প্রার্থীকে গত ২৩/০৬/২০২৪ ইং তারিখে মোবাইলে এসএমএস প্রদান করা হয়। মোবাইলে এসএমএস প্রদান করেন প্রধান শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষার প্রার্থী, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক, বিএনপি নেতা সামছুল হক খন্দকার।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বিথীকা রানী সরকার বলেন, প্রধান শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় একাধিক প্রক্রিয়ায় সরকারী বিধি উপেক্ষা করা হয়েছে, তাই পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।’