বরিশাল
বরিশালে ফিল্মি স্টাইলে সাবেক জেল পুলিশ কর্মকর্তার বাসায় সন্ত্রাসী হামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশাল নগরীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফিল্মি স্টাইলে সাবেক জেল পুলিশ কর্মকর্তার বাসায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় সন্ত্রাসীরা নগদ এক লক্ষ টাকা, একটি স্বর্ণের চুড়ি, একটি স্বর্ণের টিকলী ও একটি মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে ৯৯৯ এ কলে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ। এ ঘটনায় কোতয়ালী মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সাবেক জেল পুলিশ কর্মকর্তা মোঃ মজিবুর রহমানের স্ত্রী ফতিমা রহমান।
শনিবার (৯ মার্চ) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে নগরীর ২৩ নং ওয়ার্ডস্থ সাগরদী দরগাহ বাড়ির পোল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীরা হলেন- ওই এলাকার সাবেক জেল পুলিশ কর্মকর্তা মোঃ মজিবুর রহমান ও তার স্ত্রী ফতিমা রহমান।
অভিযুক্তরা হলেন- একই এলাকার সোনা মাঝির ছেলে মোঃ জুম্মান ও তার বোন শিরিন আক্তারসহ অজ্ঞাত আরো ২০/২৫ জন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে- শনিবার বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে সাবেক জেল পুলিশ কর্মকর্তা মোঃ মজিবুর রহমান তার ভবনের ছাদ পরিস্কার করার সময় জুম্মানদের গাছের জমানো কিছু পাতা তাদের সীমানার মধ্যে পড়ে। যার কারনে জুম্মান ও তার বোন শিরিন ক্ষিপ্ত হয়ে ফতিমা রহমান ও মোঃ মজিবুর রহমানকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে। পরবর্তীতে গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করে দেন। এই ঘটনার জের ধরে সন্ধ্যার পরে মজিবুর রহমানের ছেলে আরিফুর রহমান লিয়নকে শাহিন নামের এক ব্যাক্তি মুঠোফোনে কল করে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে এবং বিভিন্ন ভয়ভীতি ও প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে। এরপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে জুম্মান ও তার বোন শিরিনসহ ২০/২৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল লোহার রড ও লাঠিসোটা নিয়ে ২৩নং ওয়ার্ডস্থ সাগরদী দরগাহ বাড়ির পোল ‘লিয়ন মঞ্জিল’ নামের মজিবুর রহমানের ভবনের ২য় তলার ফ্লাটের মূল দরজা ভেঙে বাসায় ঢুকে মজিবুর রহমান ও তার স্ত্রী ফতিমা রহমানকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। এ সময় ঘরে থাকা স্টীলের আলমারি ও কাঠের আলমারিসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে। পাশাপাশি স্টীলের আলমারীর মধ্যে নগদ ১ লক্ষ টাকা, ফাতেমা রহমানের ডান হাতে পরিহিত একটি স্বর্ণের চুরি, কাঠের আলমারীর মধ্যে রক্ষিত থাকা একটি স্বর্ণের টিকলী, হুয়াওয়ে কোম্পানীর একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় তারা বাঁধা দিলে সন্ত্রাসীরো তাদের এলোপাথারী মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা জখম করে। পরে তারা ডাক চিৎকার করলে সন্ত্রাসীরা এই ঘটনা নিয়া বাড়াবাড়ি কিংবা মামলা-মোকদ্দমা করলে তাদেরসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যেদের খুন জখমের হুমকি প্রদান করে পালিয়ে যায়।
সাবেক জেল পুলিশ কর্মকর্তা মোঃ মজিবুর রহমান বলেন- তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ঝগড়া হয়। পরবর্তীতে গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ মিমাংসা করে দেন। এরপরেও তারা দুঃসাহসিকভাবে আমার বাসার দরজা ভেঙে ঘরের ভিতরে ঢুকে ব্যাপক ভাংচুর করেছে। স্টীলের আলমারীর মধ্যে থাকা নগদ ১ লক্ষ টাকা, আমার স্ত্রীর হাতে পরিহিত একটি স্বর্ণের চুরি, কাঠের আলমারীর মধ্যে রক্ষিত থাকা একটি স্বর্ণের টিকলী, হুয়াওয়ে কোম্পানীর একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। এবং আমাদের মারধর করেছে। আমি এর বিচার চাই।
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আরিচুল হক বলেন- অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।