বরিশাল
বরিশালে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আটক
এস এন পলাশ।। চার লাখ টাকার জন্য প্রথমে অপহরণ, পরে খুন করা হয়। বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের লামছড়ি গ্রামের মালেক হাওলাদারের ছেলে সুলতান বাদশাকে (৩০)।
মামলার বাদী নিহতের পিতা মালেক মাঝি(৭২) বলেন, ২০১০ সালের ২ জুন আমার ছেলে সুলতান বাদশাকে অপহরণ করে খুন করেন একই ইউনিয়নের মালেক মাস্টারের ছেলে বসির ফকির, ইউনুচের ছেলে আ: ছত্তার, মৃত কাদের খানের ছেলে আনোয়ার খানসহ ৫/৬ জন। সেই ঘটনায় তিনজনকে ২০১৩ সালের ১১ নভেম্বর ফাঁসির দণ্ডাদেশ দেয় বরিশাল আদালাত।
দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর গতকাল রবিবার (৫ ডিসেম্বর) ঢাকার আশুলিয়া মোল্লা মার্কেটের সামনে থেকে মামলার ২নাম্বার আসামি মৃত কাদের খানের ছেলে আনোয়ার খান(৪২)কে আটক করে কাউনিয়া থানা পুলিশ।
কাউনিয়া থানা সূত্রে জানা যায়, ওসি তদন্ত মো: সগির হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম আসামি আনোয়ার খানকে ধরতে দীর্ঘদিন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গতকাল রবিবার টিমটি গোপন সূত্রে নিশ্চিত হয়ে ঢাকার আশুলিয়া থেকে আসামি আনোয়ার খানকে আটক করেন।
এসময় ওসি তদন্ত সগির হোসেনের নেতৃত্বে অভিযানে ছিলেন এস আই হুমায়ন কবির, এস আই হালিম, এএসআই সাইফুলসহ ৬/৭ জনের একটি দল।
মামলার অপর দুজন আসামির ভিতর ইউনুচ কারাগারে ও বসার ফকির পলাতক আছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রহমান মুকুল বলেন, লামছড়ি গ্রামে খুনের ঘটনায় গতকাল রবিবার একজন ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে আটক করা হয়েছে। আজ সোমবার তাকে আদালতে উপস্থিত করা হবে।
মামলার বাদী নিহত সুলতান বাদশার পিতা মো: মালেক মাঝি বলেন, কাউনিয়া পুলিশের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আমার ছেলে হত্যার আসামি তারা আটক করেছেন। এসময় তিনি অশ্রুসিক্ত অবস্থায় বলতে থাকেন আমার ছেলেকে যারা খুন করেছেন তাদের ফাঁসি কার্যকর দেখে যেনো আমার মৃত্যু হয়।