বরিশাল
বরিশালে পাওনা টাকা চাওয়ায় মা-ছেলেকে পিটিয়ে জখম
নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশালের মুলাদীতে পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় মা-ছেলেকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আজ রোববার (২ জুন) বিকেলে শুভ শীলসহ ৯ জনকে আসামি করে মুলাদী থানায় মামলা করা হয়েছে। এরআগে গত ২৮ মে বিকেলে মুলাদী পৌরসভার তেরচর গ্রামের বেইলি ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- ওই গ্রামের জাকির হোসেন হাওলাদারের ছেলে সোহেল হাওলাদার ও তাঁর মা হোসনে আরা বেগম।
এদিকে সনাতন ধর্মের লোকজনের হামলায় মা-ছেলে আহতের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে জানান স্থানীয়রা। তাঁরা বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তবে পুলিশের দাবি, এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তাই সংঘাতের আশঙ্কা নেই।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ২৮ মে বিকেলে মুলাদী পৌরসভার তেরচর গ্রামের শুভ শীল ও রবিন শীলের নেতৃত্বে ৮-১০ জন হামলা চালিয়ে সোহেল হাওলাদার ও তাঁর মাকে পিটিয়ে জখম করেছে বলে দাবি করেছে সোহেল হাওলাদার। এ ঘটনায় তিনি রোববার বিকেলে শুভ শীলসহ ৯ জনকে আসামি করে মুলাদী থানায় মামলা করেছেন।
সোহেল হাওলাদার জানান, পৌরসভার বেইলি ব্রিজ এলাকায় ব্যবসা রয়েছে তাঁর। প্রায় ৩ মাস আগে শুভ শীলের চাচাতো ভাই মিঠুন শীল ১৫ দিনের জন্য ১ লাখ টাকা ধার নেন। গত ২৮ মে মিঠুনের বাড়ি টাকা চাইতে যান সোহেল। ওই সময় মিঠুনের স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কথার কাটাকাটি হয়। ওই দিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে দোকানে যাওয়ার সময় শুভ শীল, রবিন শীল, সুকুমার শীলসহ ৮-১০ জন লোহার রড, হাতুড়ি ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এ সময় চিৎকার শুনে মা আমাকে রক্ষা করতে গেলে তাঁকেও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে স্থানীয়রা এসে উদ্ধার করে মুলাদী হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকেরা বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠান।’
স্থানীয় বাসিন্দা সিরাজ খান বলেন, ‘সনাতন ধর্মের লোকজন মা-ছেলেকে জখম করায় মুসলমানদের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। দ্রুত আইনি ব্যবস্থা না নেওয়া হলে বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা রয়েছে।’
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকারিয়া বলেন, ‘মা-ছেলেকে জখমের ঘটনায় মামলা হয়েছে। ঘটনার দ্রুত তদন্ত এবং আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া আইনগত ব্যবস্থা শুরুর পাশাপাশি পরিস্থিতি পুলিশের পর্যবেক্ষণে রাখায় সংঘাতের আশঙ্কা নেই।’