বরিশাল সদর
বরিশালে পাঁচ দিনেও উদ্ধার হয়নি অপহৃত নবম শ্রেণীর ছাত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল সদর জাগুয়া ইউনিয়নের বামনীকাঠী গ্রামের নবম শ্রেণীর ছাত্রী লাবনী অপহরনের পাঁচ দিনেও উদ্ধার করা যায়নি। এনিয়ে কোতয়ালী থানায় অভিযোগ দিয়েও সুরাহা পাচ্ছেনা অপহৃতর পরিবার। এব্যাপারে জাগুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাক আলম চৌধুরী বলেন, আমি ভুক্তভুগী পরিবারের সাথে থানায় যোগাযোগ করে আইনী সুরাহার জন্য চেষ্টা করছি। তবে অপহৃত ছাত্রী লাবনীর পিতা ইদ্রিস হাওলাদার বলেন, চলতি মাসের ৪ তারিখ রাতে আমার মেয়ে প্রকৃতির ডাকে বাইরে বের হলে তুলে নিয়ে যায়। এরপর খোঁজাখুজির পর জানতে পারি নগরীর ২৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রাকিব ও সঙ্গীয়রা অপহরণ করে নিয়ে গেছে। এনিয়ে পুলিশের কাছে আসলে পুলিশ জানায়, রাকিব চট্টগ্রামে রয়েছে আপনারা সেখানে যোগাযোগ করেন। কিন্তু আমার আত্মীয়রা সেখানে গিয়ে কোন কুলকিনারা করতে পারছেনা। এখন আমরা কোতয়ালী থানায় এসে বসে আসি। লাবনীর পিতা ইদ্রিস হাওলাদার আরো বলেন, রাকিব একজন মাদকাসক্ত। সে ২৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল ইসলামের সহযোগী। আমার মেয়ের অপহরনের ব্যাপারে কাউন্সিরকে জানালে সে কোন ভূমিকা নেইনি। বরং রাকিবদের পক্ষ হয়ে থানা পুলিশকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করছে। তাই পুলিশের কাছে অপহরন মামলা করেও আজ পাঁচদিন হয়ে গেল বিষয়টি নিয়ে কোন তদন্ত হচ্ছে না। এ বিষয়ে জানতে ২৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল ইসলামের সাথে মোবইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি রিসিভ করেনি। তবে এব্যাপারে কোতয়ালী থানার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই শাহজালাল বলেন, এঘটনায় একটি অপহরণ মামলা হয়েছে এবং আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। কোনভাবেই কালক্ষেপন করা হচ্ছেনা। আশা করি অচিরেই আমরা লাবনীকে উদ্ধার করতে পারবো। এদিকে সূত্রে জানা গেছে, রাকিব এর আগে আরো দুইটি বিয়ে করেন এবং তার দুই সন্তানও রয়েছে। লাবনী হোগলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত এবং স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে তাকে নানানভাবে ডিস্টার্ব করতো এবং ফুসলিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলতে চাইতো। একপর্যায়ে এলাকায় এনিয়ে রোষানল তৈরী হলে সে কিছুদিন শান্ত থাকে। পরে সুযোগের অপেক্ষায় থাকে রাকিব। সর্বশেষ গত ৪ আগষ্ট লাবনীকে অপহরন করে নিয়ে যায়।