বরিশাল
বরিশালে চেয়ারম্যান পদে ৭ ইউনিয়নে লড়বেন ৩৪ জন
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ আগামী ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে জেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় অবদি সবাই ব্যস্ত সময় পার করছে। নির্বাচনকে ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং নির্বাচন কর্মকর্তারাও সুষ্ঠু-সুন্দর ভোটের ব্যাপারে আশাবাদী।
দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বরিশালের ৩টি উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে বরিশাল সদর উপজেলার ৬ ইউনিয়ন, বানারীপাড়া ১,এবং আগৈলঝাড়ায় ৫ ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১২ ইউনিয়ন নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোয়ন পত্র দাখিল করেছে ৫০ জন। এছাড়া ১২ ইউনিয়নের ১০৮ টি সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদে ৪৪৫ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য পদে ১৩৬ জন প্রার্থী মনোয়ন পত্র দাখিল করে।
এদিকে ৫০ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে বৈধ প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হয় ৪৯ জন।এর মধ্যে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে ১০ জন। এর মধ্যে আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার, বাকাল,বাগধা, গৈলা, রত্নপুর এই ৫টি ইউনিয়নে ক্ষমতসীন দলের মনোনীত ৫ চেয়ারম্যান প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হয়েছে। এদিকে বাকি ৭ ইউনিয়নে ৩৪ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করবে।
এর মধ্যে বরিশাল সদর উপজেলার রায়পাশা কড়াপুর ইউনিয়নে ৭ জন, শায়েস্তাবাদ ইউনিয়নে ৩ জন, চরমোনাই ইউনিয়নে ৫ জন, চরকাউয়া ইউনিয়নে ৭ জন, চাঁদপুরা ইউনিয়নে ৫ জন, চন্দ্রমোহন ইউনিয়নে ৩ জন এবং বানারীপাড়া উপজেলার সৈয়দকাঠী ইউনিয়নে ৪ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করবে। এদিকে ১২ ইউনিয়নের ১০৮ টি সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদে ৪১০ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য পদে ১৩১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করবে।
জানা গেছে, ১১ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বরিশালের বিভিন্ন স্থানে বাড়ছে সহিংসতা। এর মধ্যেই সুষ্ঠু-সুন্দর ভোটের প্রত্যাশা করছেন ভোটাররা।
ইতোমধ্যে ৫টি ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ক্ষমতসীন দলের প্রার্থীরা। অন্যান্য ইউনিয়নেও জোরসোর প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। কিছু কিছু স্থানে বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এরই মধ্যে কোণঠাসা হয়ে পড়তে শুরু করেছে।
বরিশালের সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল আলম জানায়, ভোট সুষ্ঠভাবে গ্রহণে যা যা পদক্ষেপ নেওয়া দরকার সেই কাজগুলো করা হবে। এবার কোন ইউনিয়নে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে ভোট গ্রহন করা হবে না।
ইতোমধ্যে আমারা সবাইকে মার্কা প্রদান করেছি। কাল জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করবো। আশা করছি সুষ্ঠু-সুন্দর ভাবে ভোট গ্রহন সম্পন্ন হবে