বরিশাল
বরিশালে চাঁদাবাজি মামলায় বহিষ্কৃত আ.লীগ নেতা শেখর ও খোকন কারাগারে
নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশালে চাঁদাবাজি মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে জামিন নামঞ্জুর হওয়ায় কারাগারে যেতে হলো ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শেখর দাস ও খোকনকে। মঙ্গলবার (২ জুলাই) অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুর রহমান চৌধুরীর আদালতে একটি চাঁদাবাজির মামলায় তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায় – বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শেখর দাসের নেতৃত্বাধীন একদল সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ গ্রুপ গড়ে উঠেছে। অভিযুক্তরা সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ প্রকৃতির লোক। তারা আইনকানুনের তোয়াক্কা করে না। তারা বিভিন্ন সময় স্পীডবোট ঘাটে গিয়ে তারেকসহ স্পীডবোট ড্রাইভার ও মালিকদের কাছে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিতে চাইলে লাইন বন্ধ করে দেয়াসহ খুন জখমের হুমকি দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ২৫ মার্চ ঘাটে এসে নগদ ৬২ হাজার টাকা চাঁদা নিয়ে যায় শেখর দাস বাহিনী। চাঁদা নিয়েও ক্ষান্ত না হয়েও তারেকের কছে চাঁদা দাবি অব্যাহত রাখে তারা। যার জের ধরে সর্বশেষ চলতি বছরের ৩০ মার্চ বিকেল ৩টায় শেখরের নেতৃত্বে ১০/১২ জনের একটি সন্ত্রাসী দল ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড নিয়ে ডিসি ঘাটে গিয়ে তারেকের কাছে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। দাবিকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে লাইন বন্ধসহ খুন জখমের হুমকি দিয়ে চলে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিন্টু বলেন, ১০ নম্বর ওয়ার্ডস্থ ভাটারখাল এলাকার জনৈক তারেক শাহ বাদী হয়ে মোকাম বরিশাল বিজ্ঞ চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে দায়ের করেন। বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা শেখর দাস ও খোকনসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করেন। আদালত মামলা গ্রহণ করে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়।
মামলার বাদী মোঃ তারেক শাহ্ বলেন, আমরা স্পীডবোট চালিয়ে পরিবার চালাই। এর মধ্যে বিভিন্ন সময় শেখর দাস তার দলবল নিয়ে এসে চাঁদা নিয়ে যায়। আমারা প্রতিবাদ করলে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিয়ে থাকে। এ ঘটনায় আমি মামলা করেছি। পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর মঙ্গলবার আদালত মামলাটির শুনানির দিন ধার্য করে। শুনানি শেষে আদালত শেখর দাস ও খোকনের জামিন নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠায়।