বরিশাল
বরিশালে কৃষিসম্প্রসারন অধিদপ্তরের ডিডি’র বিরুদ্ধে বদলী বাণিজ্যের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক॥ বরিশাল কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (ডিডি) মো: হারুন-অর-রশীদ যোগদানের পরপরই বিভাগীয় বদলী শুরু হয়েছে। সম্প্রতি কয়েকজন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার বদলী নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে কর্মকর্তা- কর্মচারীদের মাঝে, ক্ষুব্ধ হয়েছেন কৃষকরা।
সুত্রে জানাযায়, এক আদেশে উজিরপুর উপজেলা হতে ৪জন কর্মকর্তাকে বরিশাল সদর অফিসে বদলী করে আনা হয়েছে।ঐআদেশে মুলাদী ও বাকেরগঞ্জ হতে ২জন কর্মকর্তাকে সদর অফিসে আনা হয়েছে এবং বরিশাল সদর অফিসে কোঠা পূরণ হওয়ার পরেও দুজন কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত নিয়োজিত রেখেছে। অপরদিকে কৃষির দূর্গ হিসেবে পরিচিত উজিরপুর হতে আকস্মিক ভাবে চারজন কর্মকর্তার পদ শূন্য হওয়ায় বিপাকে কৃষকরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেক কর্মকর্তারা জানান, মনগড়া ভাবে অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে বদলীগুলো হচ্ছে।” উজিরপুরের কৃষক রিয়াজ জানান “বোরো মৌসুমে কর্মকর্তা স্যারেরা চলে গেলে আমদের কৃষিতে ব্যপক ক্ষতি হবে। এ এলাকায় ধান ছাড়াও বিভিন্ন সবজি ও ফল জন্মায় যা বরিশালসহ অনেক জেলায় সরবরাহ করে জীবীকা নির্বাহ করি।” মেহেন্দীগঞ্জের কৃষক কামাল হোসেন বলেন “নদী বেস্টিত এ অঞ্চলের মানুষ সংগ্রামকরে বাচতে হয়।
এখানে কৃষি কর্মকর্তা বাড়ানো দরকার।উল্টো এখান হতে বদলীকরে কর্মকর্তা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে “। এব্যপারে বরিশাল সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা তানজিলা আহমেদ বলেন” সদর উপজেলায় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার পদ পূরণের পরেও দুজন অতিরিক্ত রয়েছেন।” উজিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ তৌহিদ বলেন “আমাদের এখান হতে চার জন উপ সহকারী কর্মকর্তাকে বদলীর আদেশ পেয়েছি। তবে তারা এখনো এ অফিসে আছে।”
উজিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আঃ মজিদ সিকদার বাচ্চু বলেন “একত্রে চারজন কর্মকর্তার বদলীর আদেশ হয়েছে তা আমার জানানেই।এতজন কর্মকর্তা একত্রে চলে গেলে এউপজেলার কৃষিতে ব্যপক প্রভাব পড়বে।” কৃষিসম্প্রসারন অধিদপ্তর বরিশাল’র উপ পরিচালক মোঃ হারুন-অর-রশীদ বলেন”বদলীতে কোন অনিয়ম হয়নি।
পর্যায়ক্রমে সকল খালিপদ পুরন করা হবে।” এই বলে তিনি বিকেআইবি’র বরিশাল জেলা সভাপতি মোঃ আবুল বাশার সাথে কথা বলার জন্য ফোনটি ধরিয়ে দেন। আবুল বাশার বলেন “এবদলীতে কোন অনিয়ম বা লেনদেন হয়নি।”