বরিশাল
বরিশালে কুরবানির পশুর হাট, কেনার চেয়ে দেখছেন বেশি
নিজস্ব প্রতিবেদক : গরুর দাম বাড়ার কারণে শেষ সময়েও বরিশালে কুরবানির পশুর হাটে ক্রেতাসমাগম হলেও বিক্রি নেই খুব একটা। জেলার ৮২টি হাটের মধ্যে অধিকাংশেই এই চিত্র দেখা গেছে। যে কজন ক্রেতা হাটে আসছেন তারাও দরদাম করে ফিরে যাচ্ছেন। ফলে শেষ সময়ে হাটে লোকসমাগম বাড়লেও সে তুলনায় বিক্রি বাড়েনি।
সব হাটেই গরুর দাম গত বছরের চেয়ে বেশি হাঁকা হচ্ছে। তবে শহরের চেয়ে গ্রামাঞ্চলের হাটগুলোতে বিক্রি কিছুটা বেশি লক্ষ্য করা গেছে। সরেজমিন দেখা যায়, বরিশাল নগরীর কাগাশুরা, রূপাতলী ও বাঘিয়াসহ আশপাশের হাটগুলোতে ক্রেতাসমাগম থাকলেও তেমন বিক্রি নেই। সদর উপজেলার চরমোনাই হাটে বেচাবিক্রি চললেও তা কাক্সিক্ষত না। একই অবস্থা জেলার বানারীপাড়া উপজেলার গুয়াচিত্রাসহ কয়েকটি হাটের। এসব হাটে আলমডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও বাগেরহাট থেকে গরু এসেছে। শহরের অধিকাংশ ক্রেতা গরু লালনপালনের ঝামেলা এড়াতে ঈদের আগের দিন কিনবেন বলে বাজার ঘুরে শুধু দাম যাচাই করছেন।
জানা গেছে, বরিশালের ১০টি উপজেলায় ২৫টি স্থায়ী, অস্থায়ী ৫৩টি হাট বসেছে। এছাড়া বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকায় স্থায়ী ১টি ও অস্থায়ী ৩টি হাট বসেছে। নগরীর বাঘিয়া ঝাউতলা হাটের ক্রেতা মো. পলাশ বলেন, শহরে গরু রাখার জায়গা সংকটের পাশাপাশি লালনপালন করাও ঝামেলা। তাই এখন গরুর দাম যাচাই করে ঈদের আগের রাতে কিনব বলে চিন্তা করেছি। চরমোনাই হাটের ক্রেতা আবদুল মজিদ বলেন, হাটে ছোট ও মাঝারি সাইজের অনেক গরু উঠেছে। কিন্তু গত বছরের তুলনায় অন্তত ২০ ভাগ দাম বেড়েছে।
নগরীর রূপাতলী হাটে আসা বাগেরহাটের মোল্লারহাটের গরু ব্যাপারী ইব্রাহিম মোল্লা বলেন, ১৪টি গরু নিয়ে এসেছি। ক্রেতারা দাম যাচাই করে চলে যান। একটিও গরু বিক্রি হয়নি। বিক্রি হবে কি না সেই শঙ্কায় আছি। বরিশাল পর্যন্ত আনতে গরু প্রতি ২৫০০ টাকা খরচ হয়েছে। গরুর খাবারসহ অন্য দ্রব্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় গত বছরের তুলনায় এবার গরুর দাম কিছুটা বেশি। নগরীর কাগাশুরা পশুর হাটের বেপারি হাসান হাওলাদার বলেন, হাটে ৫টি গরু নিয়ে এনেছি। শুক্রবার সারা দিনে একটি গরু বিক্রি হয়েছে।
বরিশাল বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছরে বিভাগের ছয় জেলায় মোট কুরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ৪ লাখ ৩২ হাজার ৬১১টি। তবে বিভাগের ২৬ হাজার ৫৭৮ জন খামারির কাছে মজুত রয়েছে ৪ লাখ ৪৯ হাজার ৪৫৪টি পশু। ফলে চাহিদার পরেও উদ্বৃত্ত থাকবে ১৬ হাজার ৮৪৩টি পশু।