বরিশাল
বরিশালে একরাতে ১০ নলকূপ চুরি, তীব্র পানি সংকটে শতাধিক পরিবার
নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশালের মুলাদীতে এক রাতে ১০ বাড়ির গভীর নলকূপ চুরি হয়েছে। এতে পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে ওই গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবারের। অন্যদিকে প্রচণ্ড গরমে অধিকাংশ পুকুরের পানিও শুকিয়ে গেছে। যেটুকু আছে, তা গরমে ব্যবহার অনুপযোগী থাকছে অধিকাংশ সময়। এতে তীব্র পানি সংকটে পড়েছে পরিবারগুলো।
এ ঘটনায় নিজেদের পুলিশ টহল বাড়ানোর পাশাপাশি জনগণকেও চুরির বিষয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। গতকাল দিবাগত রাতে উপজেলার গাছুয়া ইউনিয়নের পূর্ব হোসনাবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মো. শিপন হাওলাদার এবং গ্রাম পুলিশ মুজিবুল হক। গত ছয় মাসে ওই গ্রামের কমপক্ষে ৩০টি গভীর নলকূপ চুরি হয়েছে বলে জানান তাঁরা।
পূর্ব হোসনাবাদ গ্রামের মোসলেম উদ্দীন সিকদার বলেন, ‘ রাতে আমার বাড়ির গভীর নলকূপ খুলে নিয়ে গেছে। একই রাতে খলিল ব্যাপারী, মোসলেম উদ্দীন সরদার, জয়নাল আবেদীন, মো. শরিফ হোসেন, জালাল আহম্মেদের বাড়িসহ ১০ বাড়ির গভীর নলকূপ চুরি হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বৃষ্টি না হওয়ায় এলাকার খাল ও পুকুরগুলো শুকিয়ে গেছে। গভীর নলকূপ চুরি হওয়ায় এলাকায় তীব্র পানিসংকট দেখা দিয়েছে। এক থেকে দেড় কিলোমিটার দূর থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে। এতে এলাকার বৃদ্ধ, নারী ও শিশুরা চরম ভোগান্তিতে আছে।’
গাছুয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. শিপন হাওলাদার বলেন, ‘দরিদ্র এলাকায় অধিকাংশ গভীর নলকূপ সরকারি ও দাতা সংস্থার অর্থায়নে বসানো হয়েছে। দুর্বৃত্তরা নলকূপের ওপরের অংশ ভেঙে কিংবা খুলে নিয়ে যায়। একটি নলকূপের ওপরের অংশের দাম চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা। দরিদ্র পরিবারগুলোর পক্ষে নতুন করে বসানো সম্ভব হয় না।’
এ ঘটনার বিষয়ে মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকারিয়া বলেন, ‘উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে। সাধারণ মানুষকে চুরি প্রতিরোধে সচেতন হতে এবং এলাকায় গভীর রাতে সন্দেহভাজন চলাচলকারীদের চিহ্নিত করে পুলিশকে জানানে হবে।’