বরিশাল
বরিশালে অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য চালু হচ্ছে করোনা ইউনিট
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ গর্ভবতীদের করোনা চিকিৎসার জন্য বরিশালে চালু হচ্ছে আলাদা করোনা ইউনিট। চলতি সপ্তাহে নগরীর কালিবাড়ি রোডের মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রে ২০ শয্যার ওই ইউনিট চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস।
তিনি জানান, এখানে করোনায় আক্রান্ত গর্ভবতীদের চিকিৎসা দেওয়া হবে। এছাড়া জেলার ৯ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০টি করে মোট ১৮০ শয্যা বাড়ানো হচ্ছে।পাশাপাশি ৩০০ শয্যার আরও দুটি বেসরকারি হাসপাতালকে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে চালু করা হবে। এর মাধ্যমে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা চিকিৎসায় অতিরিক্ত চাপ কমে আসবে।
ডা. বাসুদেব কুমার বলেন, বরিশাল বিভাগে করোনার পরিস্থিতি ভয়বহ রূপ ধারণ করায় তা মোকাবিলা করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিভাগীয় কমিটির সঙ্গে ভার্চুয়াল সভায় এই তথ্য জানানো হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের বিভাগীয় উপপরিচালক ডা. তৈয়বুর রহমান বলেন, আমরা চাইলেই আজ-কালের মধ্যে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটিতে করোনায় আক্রান্ত গর্ভবতী নারীদের ভর্তি করাতে পারি।
কিন্তু এখানকার চিকিৎসক, নার্সদের প্রশিক্ষণের দরকার আছে। পাশাপাশি অক্সিজেন ব্যবস্থা নেই এই কেন্দ্রে। মূলত অক্সিজেন সরবারহের ব্যবস্থা করা হলেই নারীদের জন্য বিশেষায়িত করোনা ইউনিটটি চালু করা সম্ভব।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম বলেন, সোমবারের ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয় বরিশাল জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ড, সাধারণ ওয়ার্ডগুলো শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, জেনারেল হাসপাতালে শুধু বহির্বিভাগ চালু থাকবে ও পুরো হাসপাতালটি করোনা রোগীদের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।
এছাড়া অবস্থা বেশি খারাপ হলে তা মোকাবিলা করতে বেসরকারি ১০০ শয্যার আম্বিয়া মেমোরিয়াল হাসপাতাল এবং আড়াই শ শয্যার সাইথ অ্যাপোলো মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে প্রস্তুত করা হচ্ছে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের বিভাগীয় পরিচালক আবদুস সালাম, সিভিল সার্জন ডা. মনোয়ার হোসেন, শের-ই-বাংলা মেডিকেলে কলেজে অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান, উপপরিচালক ডা. জসিম উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) গৌতম বাড়ৈ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রবিউল ইসলাম খান প্রমুখ।