বরিশাল
বরিশালের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি, তলিয়ে গেছে নিচু এলাকা
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ও অমাবস্যা জোয়ারের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকার সকল নদ-নদীর পানি বেড়েছে। বরিশালে কীর্তনখোলা নদীর পানিও আজ মঙ্গলবার সকালে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। নদী তীরবর্তী নিচু এলাকা জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
তবে আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে জোয়ারের প্রভাব কমে গেলে পানি মেনে যাবে এবং এতে আতংকিত হওয়ার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টায় কীর্তনখোলা নদীর পানি বরিশাল বন্দর পয়েন্ট বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। অপরদিকে বিভাগের অপর ৫টি নদীর ৯টি পয়েন্টে গতকাল সোমবার বিপৎসীমা অতিক্রম করে। আজও ওই ৫ নদীতে অস্বাভাবিক পানি প্রবাহ ছিল।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের মিটার গেজ রিডার আব্দুর রহমান জানান, বরিশালে কীর্তনখোলার নদীর পানির বিপৎসীমা ২.৫৫ মিটার। আজ সকাল ৬টায় ২.৬০ মিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। এদিকে পানি বৃদ্ধির কারণে নদী তীরবর্তী নিচু এলাকাগুলো জোয়ারের সময় পানিতে তলিয়ে যায়। এতে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়। তবে ৬ ঘণ্টা পর ভাটার সময় পানি নেমে যায়।
এদিকে গতকাল সোমবার রাত থেকে বরিশালে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস। নদী বন্দরে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত এবং সাগরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের অবজারভার প্রণব কুমার রায়।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস জানান, বৃষ্টি এবং দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে নদ-নদীতে পানি কিছুটা বেড়েছে। আগামী ৩/৪ দিনের মধ্যে পানি নেমে যাবে। এতে আতংকিত হওয়ার কিছু নেই।