বরিশাল
বরিশালের কোরবানির বাজার কাঁপাবে টারজান
এস এন পলাশ।।
বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার ৩নং দাঁড়িয়াল ইউনিয়নে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে প্রায় ২০ মণ ওজনের বিশাল আকৃতির ফিজিয়ান জাতের একটি গরু।
প্রায় ২০ মণ ওজনের বিশাল আকৃতির ফিজিয়ান জাতের এক গরু। রং সাদা কালো আর গায়ে গতরে বড় হওয়ায় মালিক খুশি হয়ে নাম রেখেছেন ‘টারজান’।
মালিকের আশা এবার কোরবানির পশুর হাট কাঁপাবে তার টারজান’ নামে এই গরুটি। বিশালকার এ গরুটি নিয়ে ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে মাতামাতি। বিভিন্ন স্থান থেকে গরু ব্যবসায়ীরা দেখতে আসছেন, করছেন হাকডাক। তবে গরুর মালিক এখনই এই টারজান নামে খ্যাত গরুটি ছাড়ছেন না। আশায় আছেন দাম ভালো পেলে তবেই ‘টারজান ‘ তুলে দেবেন ক্রেতার হাতে।
রবিবার দুপুরে বাকেরগঞ্জ উপজেলার দাঁড়িয়াল ইউনিয়নের কোষাবড় মুরাদ মুন্সির খামারে গিয়ে দেখা মেলে এই টারজানের। ইটের দেয়াল আর টিনের ছাউনি দেওয়া ঘরের এক পাশে ছিল বিশাল গরুটি। শরীরে সাদা কালো রং, শক্তির প্রভাব বেশি তাই নাম টারজান। অবশ্য গরুটির চার পা সাদা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রচণ্ড রোদ ও তাপ থাকায় গরুটিকে দিনের বেলায় ৩ থেকে ৪বার গোসল করানো হয়। দেখা শোনার জন্য দুইজন কর্মচারী রয়েছে। তবে মালিক মুরাদ মুন্সি নিজেও যত্ন নেন এই টারজানের।
খামারে গরু কিনতে আসা গরু ব্যবসায়ী রফিক মাঝি জানান, টারজান নামে গরুটির ওজন প্রায় ২০ মণ হবে। তিনি গরুটির দাম ১০ লাখ টাকা বলেছেন। তবে মালিক দিতে রাজি হয়নি।
গরু খামারি মুরাদ মুন্সি বলেন, ব্যবসার পাশাপাশি প্রায় ৩ বছর ধরে গরু পালন করে আসছি। অনেক দিনের স্বপ্ন বড় গরু প্রস্তুত করব। এবার আমার সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। কোরবানি ঈদ সামনে রেখে ভালো দামে বিক্রির আশা করছি। অনেক গরু ব্যবসায়ী গরুটি দেখতে আসেন। ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত দামও উঠেছে। কিন্তু দামে পছন্দ হয় না। খামারে বিক্রি করতে না পারলে হাটে তুলব। বর্তমান গরুটি দৈনিক ৬শ টাকার গো-খাদ্য খায়। গরুটির কথা শুনে অনেকে দেখতেও আসছেন।
ইউপি সদস্য শহিদুল হাওলাদার বলেন, গরুর খাবারের ঊর্ধ্বগতির কারণে অনেক খামারি ছেড়েছেন এই পেশা। তারপরও আমাদের এলাকায় খামারি মুরাদ মুন্সি বড় আকারের গরু পালন করে আলোচনার সৃষ্টি করেছেন। তিনি ভালো দাম পেলে অনেকেই কোরবানির বড় গরু-ছাগল পালনে আগ্রহী হবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাকেরগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জানান, ফ্রিজিয়ান জাতের গরু পালনে অনেকেই আগ্রহী হন না। তবে মুরাদ মুন্সি সফল হয়েছে। গরুটির বিষয়ে আমরা খোঁজ খবর নিয়েছি এবং গরুটিকে যাতে কোনো ওষুধ প্রয়োগ না করা হয় সে জন্য যোগাযোগ করেছি। গরুটি পালনে তাকে নানা পরামর্শ দিয়েছি। ভবিষ্যতে এ রকম গরু যদি কেউ পালন করতে চান প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পরামর্শ ও সহযোগিতা দেওয়া হবে।