রাজনীতি
বরগুনায় জুয়া নিয়ে সংঘর্ষে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র নিহত
বরগুনা প্রতিনিধি ॥ বরগুনায় জুয়া খেলা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম সাইফুল ইসলাম সবুজ (২২)। তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি কলেজে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে অধ্যয়নরত। নিহত সবুজের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের রায়ভোগ কদমতলা গ্রামে। তার বাবার নাম ফারুক পহলান।এ ঘটনায় আরো আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। গুরুতর আহত অবস্থায় সবুজকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানেই তিনি মারা যান। বুধবার রাতে বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের রায়ভোগ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। করোনার কারনে কয়েকদিন আগে বাড়ি এসেছে। এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, গত ইউপি নির্বাচন নিয়ে ওই এলাকার বর্তমান ইউপি সদস্য রাজা সাবেক ইউপি সদস্য স্বপন খানের মধ্যে বিরোধ চলছে। বুধবার বেলা সাড়ে এগারটার দিকে ঢলুয়া ইউনিয়নের পশ্চিম রায়ভোগ গ্রামের অতুল হাওলাদারের বাড়ির পুকুর পাড়ে সাবেক ইউপি সদস্য স্বপন খানের লোকজন জুয়ার আসর বসায়। স্থানীয় গ্রাম পুলিশ সদস্য আবদুস সালাম বিষয়টি বরগুনা থানা পুলিশকে অবহিত করেন। বুধবার সকালে রায়ভোগ গ্রাম থেকে স্থানীয় মাসুক, রাজা, বাসুদেবসহ চারজনকে জুয়া খেলা অবস্থায় হাতেনাতে আটক করে বরগুনা সদর থানার পুলিশ। পরে তাদের মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়। এরপর ছাড়া পেয়ে জুয়ারিরা তাদের সহযোগীদের নিয়ে যারা পুলিশকে খবর দিয়েছে তাদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। আহতদের মধ্যে ইউসুফ (৪০), আবদুল বারেক (৫০), আবুল কালাম (৬৫), আলমগীর (৪০), শাহাবির (২৫), গোলাম রসুল (৪৫), রুবেল (২৫), বেলায়েত হোসেন (২১) সরোয়ার পহলানের (৪৫) নাম জানা গেছে। এদের মধ্যে সরোয়ারের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবির মোহাম্মদ হোসেন বলেন, স্থানীয়দের তথ্য অনুযায়ী চার জুয়াড়িকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাতে এ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। নিহতের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য সবুজের লাশ বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।