পাথরঘাটা
বরগুনায় গৃহবধূকে ধর্ষণের ভয় দেখিয়ে দুর্ধর্ষ ডাকাতি
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় ধর্ষণের ভয় দেখিয়ে হাত-পা, মুখ বেঁধে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাত দল এসময় নগদ ১০ লাখ টাকা ও ১৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়। গত বুধবার রাতে উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নে দক্ষিণ কাকচিড়া গ্রামের বাদল মোক্তারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বাদল মোক্তারের ভাইয়ের জামাই ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাবির হোসেন সাংবাদিকদের ঘটনাটি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গত বুধবার রাতে খাবার শেষে তার চাচা শ্বশুর বাদল মোক্তার, স্ত্রী জেসমিন আক্তার ও ছেলে সিনাকে নিয়ে ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়েন। আনুমানিক রাত ২টার দিকে বারান্দার গ্রিলের তালা ভেঙে একজন ঘরে প্রবেশের বিষয়টি টের পান শ্বশুর। তখন তিনি এবং তার স্ত্রী মিলে তাকে জাপটে ধরেন। এর মধ্যেই পিছন থেকে আরও ৫/৬ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল ঘরে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের হাত-পা বেঁধে ফেলে। এ সময় জেসমিন আক্তারকে পাশের কক্ষে নিয়ে ধর্ষণের ভয় দেখিয়ে মূল্যবান সামগ্রীর সন্ধান চাওয়াসহ মারধরও করে ডাকাতরা। জাবির হোসেন আরও জানান, রাত ২টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপি তাণ্ডব চালিয়ে ঘরের মূল্যবান আসবাবপত্র ভাংচুর করে নগদ ১০ লাখ টাকা ও ১৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতরা। তবে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে চিনতে পারেননি তারা। পাথরঘাটা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মোহাম্মদ সাঈদ আহমদ বলেন, ‘ডাকাতির সংবাদ পেয়ে বরগুনা সদর সার্কেলসহ আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এর আগেও পাথরঘাটায় ঠাকুরঘরের সিন্ধুক ভেঙে ডাকাতি করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করে ডাকাত চক্রকে আটক করেছি। অভিযোগের ভিত্তিতে এ ঘটনার তদন্ত করে রহস্য উদঘাটন করা হবে, জানান ওসি।